বিসিএস জয়ী ডা. নীলিমা তিনি প্রথমা তিনি নন্দিনী

প্রকাশ | ১৩ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সুমন্ত গুপ্ত নারী মানে একজন মা, কন্যা, বোন আরো অনেক সম্পর্কের বন্ধন। আর এই সম্পর্কের মাঝে আছে অনেক মধুরতা, আবেগের মাখামাখি, আরো আছে আনন্দ সুখের অনেক কাব্য। এক সময় নারী অভিধানে অবহেলিত, অসহায়ত্ব এই শব্দগুলো খুব মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেও এখন আর তা নেই। কুঁড়ে ঘর থেকে মহাকাশে ছুটে চলা বিমান আজ নারীর দখলে। সভ্যতার প্রতিটি পাতায় নারীর ছোঁয়া। যে নারী সন্তান জন্ম দিচ্ছে, সেই আজ এভারেস্ট জয় করছে। 'জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা' নারী জাগরণের যে আহ্বান বেগম রোকেয়ার সেই পথেই হাঁটছেন আমাদের সুশিক্ষিত নারীরা। স্বপ্ন দেখছেন, স্বপ্ন সফল করছেন, পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া নারীদের স্বপ্ন দেখার প্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন। নারীর অনুপ্রেরণা, নারীর শক্তি একজন নারীই হয়। এমন কেউ, যে কিনা একটি মেয়ের এগিয়ে চলার শক্তি, নিজেকে চেনার শক্তি, নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে। তেমনি একজন ডা. নীলিমা ইয়াসমিন। পড়াশোনা করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে। মেডিকেলে পড়াশোনা অবস্থায়ই তার বিয়ে হয়েছে। তবুও তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন সেরাদের সেরা হিসেবে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজেই তিনি মেধার স্ফূরণ ঘটিয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদকও পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি চিকিৎসকদের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা প্রফে (২০১৬ সালে) প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। সংসার সামলিয়েই তিনি চিকিৎসকদের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় (২০১৬ সালে) প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। আর এবার তিনি ৩৯তম বিসিএসে দেশসেরা হয়েছেন। মেধায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ডা. নীলিমা। তবে এর জন্য তেমন একটা প্রস্তুতি নিতে পারেননি ডা. নীলিমা। গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে নীলিমা বলেন, 'যখন এফসিপিএসের জন্য চেষ্টা করছিলাম, তখন আমি গর্ভবতী ছিলাম। দুইটি পরীক্ষাই তখন পাশাপাশি ছিল। আল্‌হামদুলিলস্নাহ, দুটিতেই উত্তীর্ণ হয়েছি। তারপর যখন ৩৯তম বিসিএসের যখন বিজ্ঞপ্তি দিল, তখন দেখলাম যে আমার ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তিনদিন আগেই হলো ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষা।' 'এর মধ্যে ট্রেনিং করা, পড়াশোনা, ছোট বাচ্চা, সব মিলিয়ে আমার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ৩৯তম বিসিএসের জন্য যে খুব বেশি প্রস্তুতি নিয়েছি তা নয়, ৩৮তমর জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছি। তার মধ্যেই আমি ৩৯তম বিসিএসে প্রথম হয়েছি। তিনি বলেন, 'যখন ৩৯তম বিসিএসের পরীক্ষা দিয়ে বের হলাম, তখন মিলিয়ে দেখলাম যে ১৬৪/১৬৫ নাম্বার নিশ্চিত। তখন বুঝতে পারলাম যে, ৩৯তম তো হবেই। তখন ৩৮তমের বিষয়টা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ৩৯তম তে তো প্রথম হলাম, দেখা যাক, সামনে কি হয়। সবাই দোয়া করবেন।' প্রসঙ্গত, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) চূড়ান্ত ফলাফলে প্রায় ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সভার পরই ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।