তৃণার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

মূলত মোটিফ স্টাইলের প্যাটার্ন নিয়ে কাজ করি আমরা। নারীদের ব্যবহার্য পণ্যগুলো বিক্রয় করি আমরা। দেশীয় কাপড়ের ডিজাইনিং আমার ভালো লাগে। তবে ফ্লো ট্রেন্ডি ডিজাইন নিয়েই আমার কাজ।

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফারহা মাহমুদ তৃণা
বেনজির আবরার ২০১৬তে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান টিআরএস ক্লোজেট। আর্মি অফিসার বাবার নিয়মে ঘেরা পরিবেশে বড় হয়েছেন ফারহা মাহমুদ তৃণা। দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টের বিশাল মাঠে তৃণার শৈশব কাটানোর পর যোগ দেন শিক্ষক হিসেবে স্কলাসটিকা স্কুলে। তবে ছোটবেলা থেকে তৃণার ভীষণ প্রিয় বিভিন্ন ডিজাইনের ড্রেস পরা। বড় হয়ে নিজের ড্রেস আর শাড়ি ডিজাইন করতে করতে তৃণা আর তার বোন সাদিয়া মাহমুদ হয়ে যান ডিজাইনার। প্রথমে অনলাইনভিত্তিক হলেও পরবর্তীতে তৃষাসহ শুরু করলেন ২০১৬তে গিয়ে। গ্রাহকদের ব্যাপক চাহিদায় এটাকে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে ঢাকায় চালু করেন তারা। তার রয়েছে চমৎকার একটি হার না মানা যুদ্ধের গল্প, যা সকল নারী উদ্যোক্তাদের জন্য হতে পারে অনুপ্রেরণার মহাগল্প। তার রয়েছে স্পেশাল চাইল্ড, তার সন্তানকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই দিতে হচ্ছে থেরাপি। এর মধ্যেই এই সফল উদ্যোক্তা নিজের বাকি কাজগুলোও করে নিয়েছেন দৃপ্ততার সঙ্গে। বর্তমানে চাকরিও করছেন অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এ যেন সফলতার পথে হাঁটা এক সফল তরুণী। তাদের প্রতিষ্ঠানটি তারা বজায় রেখেছেন স্বকীয়তায়। ফেসবুক পেইজের নাম টিআরএস ক্লোজেট হলেও চট্টগ্রামের দোকানটির নাম রেখেছেন ''তৃষাস ক্লসেট" আর ঢাকারটির নাম ''তৃণাস ক্লোজেট''। তৃণা বললেন, মূলত মোটিফ স্টাইলের প্যাটার্ন নিয়ে কাজ করি আমরা। নারীদের ব্যবহার্য পণ্যগুলো বিক্রয় করি আমরা। দেশীয় কাপড়ের ডিজাইনিং আমার ভালো লাগে। তবে ফ্লো ট্রেন্ডি ডিজাইন নিয়েই আমার কাজ। দুবোনের এই স্বপ্ন, এই প্রতিষ্ঠানকে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান করা। তবে তারা জানেন, এটা অনেক কঠিন এবং বিশ্বাস করেন যদি স্বপ্ন দেখেন বড় করে, সত্যি হবেই! পরিবারের সমর্থন পেয়েছেন তৃণা। আস্থা আর প্রতিকূলতায় স্বামী আর তার পরিবার অনুপ্রেরণা দিয়েছে অনেক বেশি। বর্তমান এই সাফল্যে তার পরিবারও অনেক খুশি।