সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গণমাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন য় নন্দিনী ডেস্ক সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম। এ দুটি শব্দের সঙ্গে আমরা সবাই ভালোভাবেই পরিচিত। পাশাপাশি নারীর অধিকার বা পুরুষের সঙ্গে নারীর সমান অধিকারের বিষয়ও দেশের সর্বস্তরের মানুষ এখন অবগত। নারী আন্দোলনকারী ব্যক্তি, সংস্থা বা সরকার এমনকি এনজিওকর্মীরা নারীর সমান অধিকার নিয়ে কাজ করছে। এখন প্রতিটি স্তরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও এর আগে গণমাধ্যমে নারীর সমান অধিকারের বিষয় তেমন সোচ্চার হতে দেখিনি। একবিংশ শতাব্দীতে সাংবাদিকতা আকর্ষণীয় একটি পেশা হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি আর প্রতিযোগিতার এই যুগে গণমাধ্যমগুলোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সবার আগে সংবাদ পৌঁছে দেয়া। বাংলাদেশসহ বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো এই কাজটা বেশ সফলতার সঙ্গেই করছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। আর এই সফলতার পেছনে পুরুষের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের ভাগিদার হচ্ছেন নারীরাও। নারীদের বিশাল অবদান থাকা সত্ত্বেও গণমাধ্যমে তাদের তেমন অধিকার বা ক্ষমতায়ন দেখা যায় না। তবে একটি কথা না বললেই নয়- সাংবাদিক, এখানে নারী-পুরুষ ব্যবধান হওয়া উচিত কি? এখন প্রতিটি স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ বা নারী নেতৃত্ব বাড়ছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলের নেতা হিসেবেও একজন নারী, একাধিক প্রধানমন্ত্রীও নারী, দেশ স্বাধীনের পর সম্প্রতি প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদ অলঙ্কৃত করছেন নারীরা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি বা উন্নয়ন হয়েছে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। এত কিছুর পরেও নারীর উন্নয়ন বা নেতৃত্ব হলেও ক্ষমতায়ন বাড়েনি। এ ক্ষেত্রে নারীদেরও এগিয়ে আসা উচিত। ভুল সিদ্ধান্তের ফল য় নন্দিনী ডেস্ক বাল্যবিয়ে, বহু বিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধিগুলো সমাজের অলি-গলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। শহরের জীবনযাপন পদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা, আইনের প্রয়োগ গ্রামের তুলনায় ভালো। গ্রামের কথা আমরা অধিকাংশ মানুষই মনে রাখি না, কি ক্ষমতাবান বা ক্ষমতাহীন। দেশের পুরো রূপটাকে বদলাতে হলে শেকড় থেকে পরিবর্তন শুরু করতে হবে। বাংলাদেশে এখনো শহর কিংবা গ্রাম উভয় স্থানেই বাল্যবিয়ে অহরহ হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আইন রক্ষাকারীদের হাতেই আইন ভঙ্গ হয়। কিছু স্বার্থ, অর্থলোভী ব্যক্তিদের দ্বারা কাগজের মারপঁ্যাচে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের এক মুহূর্তে প্রাপ্ত বয়স্ক করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের সমাজের অসচেতন অভিভাবকরা মেয়েদের বিয়ে দিলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন; কিন্তু বিবাহ পরবর্তী সময়ে তাদের সন্তানের জীবন কেমন হবে, এ বিষয়টি কোনো অভিভাবকই ভেবে দেখেন না। ফলে মেয়েসন্তানকে বাবা-মায়ের ভুল সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হয় আজীবন। অনেক সময় তাদের মূল্যবান জীবনও বিসর্জন দিতে হয়। অধিকাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে শিশুরা অল্প বয়সে বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে মারা যায়। অনেক ক্ষেত্রে পুষ্টির অভাবে বাচ্চা শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। ফলে একটি ভুল সিদ্ধান্তের ফল যে কেবল কন্যাশিশুকে ভোগ করতে হয় তা কিন্তু নয়, বরং তার পরবর্তী প্রজন্মকেও ভোগ করতে হয়। সমাজে এক দৃষ্টান্ত তানিয়া য় নন্দিনী ডেস্ক আমতলীর আরপাংগাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া। সে আরপাংগাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। বাবা তাজুল ইসলাম, মা রুনা বেগম। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে তানিয়া ছোট। মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে বাবা-মা প্রায়ই দুশ্চিন্তায় থাকতেন। তানিয়ার কোনো ভাই না থাকায় বাবা নিজেদের অসহায় মনে করতেন। তাদের ধারণা সংসারে ছেলে না থাকলে সমাজ বা পরিবারে কোনো গুরুত্ব থাকে না। তানিয়ার উদ্যোগ বাবা-মায়ের সে ধারণাকে পাল্টে দেয়। তানিয়া এনএসএসের রিকল প্রকল্পের বৈশাখী গণসংগঠনের কিশোর-কিশোরী দলের সদস্য হওয়ার পর বিভিন্ন সভায় অংশ নেয়। সে ধীরে ধীরে অধিকার সচেতন হয় এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখে। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই লক্ষ্য করত এলাকার কিছু বখাটে ছেলে তাদের পিছু নেয়। নানা অসৌজন্যমূলক কথা বলে। এতে সে এবং তার বান্ধবীরা অস্বস্তি বোধ করত। তার মনে জেগে ওঠে প্রতিবাদের ভাষা। সে উদ্যোগ নেয় অন্যান্য কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য। সে ছেলেমেয়েদের সংগঠিত করে বখাটে ছেলেদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে। এভাবে একদিন দুষ্ট ছেলেদের সামনে গিয়ে তাদের বারণ করলে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে। সেই ছেলেরা এখন তাকে বোনের দৃষ্টিতে দেখে। পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে। তানিয়ার উদ্যোগ এলাকায় প্রশংসিত হয়। তানিয়ার পরিচিতি স্কুলে বড় আপা বলে। এলাকার বখাটে ছেলেরা এখন তানিয়াকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। এ যেন কিশোরী তানিয়া সমাজে এক দৃষ্টান্ত। এ প্রসঙ্গে তানিয়া বলে, এলাকার ছেলেরাও তো আমাদের ভাই আমরা যদি তাদের বুঝিয়ে বলি তারা অবশ্যই আমাদের কথা শুনবে। তানিয়া সমাজের সব মেয়েকে তার মতো প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান জানান।