সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রূপগঞ্জের নারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা য় নন্দিনী ডেস্ক রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া পাইকারি কাপড়ের মার্কেট নারী ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের পদচারণায় এখন মুখোরিত। দেশের বিভিন্ন জেলার ৩০ হাজার মহিলা ক্ষুদে কাপড় ব্যবসায়ী এই মার্কেট থেকে পাইকারি দরে শাড়ি কাপড়, ওড়না, লুঙ্গি, গামছা, বোরকা, চাদর ও গজ কাপড় কিনে নিজ নিজ এলাকায় ফেরি করে বিক্রি করেন। এ ব্যবসা চালিয়ে তাদের অনেকে এখন স্বাবলম্বী। সে কারণে ভুলতা গাউছিয়া কাপড়ের মার্কেটে রমজান মাসের আগের সপ্তাহ থেকেই কেনাবেচা জমে ওঠে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি চলতি ফ্যাশনের শাড়ি, থ্রি-পিস, টু-পিস, লেহেঙ্গা, টি-শার্ট, ফুল শার্ট, জিন্স প্যান্ট, দেবদাস, ফতুয়া, বেনারসি, কাতান, মিরপুরী কাতান, দেশি জামদানি, লেদার আইটেম, বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি ও বাচ্চাদের কাপড় মূলত রমজান মাসের শেষে দুই সপ্তাহ কেনাকাটা হয়। তবে মার্জাককলি, আনার কলি, সানিয়া মির্জা, অক্টোপাস, সাকিরা জামার চাহিদা এবার বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার শিশু-কিশোরদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ। এখানে পোশাকের দাম কম। ডিজাইনেও রয়েছে নতুনত্ব। কালেকশন ভালো। বৈচিত্র্যময় এসব পোশাকের দাম নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যে। তবে সুতি কাপড়ের চাহিদাও কম নয়। গাউছিয়া মার্কেটে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের কোনো খাজনা দিতে হয় না। চোর-পকেটমারের উপদ্রব নেই। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে শতাধিক প্রহরী ও কমিউনিটি পুলিশ। আছে ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশ। শ্রমজীবীর সফলতা য় নন্দিনী ডেস্ক দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস পোশাকশিল্প, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, চা শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি নারী জড়িত। এসব শিল্পের প্রধান কাজগুলো করেন নারী। সরকারি হিসাব হচ্ছে, গৃহস্থালি কাজ ছাড়া বর্তমানে দেশে ১ কোটি ৬২ লাখ নারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। গবেষকরা বলছেন, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি স্বীকৃত হলেও বিপুলসংখ্যক নারী বিনা পারিশ্রমিকে ঘরে শ্রম দেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে একজন নারী প্রতিদিন গড়ে ১২ দশমিক একটি কাজ করেন, যা জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজের সংখ্যা মাত্র ২ দশমিক ৭। এতে বলা হয়, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব একজন নারী গড়ে প্রতিদিন একই বয়সের পুরুষের তুলনায় প্রায় তিনগুণ সময় কাজ করেন। নারীর অধিকার য় নন্দিনী ডেস্ক দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, ধর্মীয় কুসংস্কার প্রভৃতি বিষয়কে দায়ী মনে করা হলেও নারী নির্যাতনের মূল কারণ নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক সম্পর্ক। নারীর অবস্থান অধস্তন। প্রবল পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক মূল্যবোধ, বাজারমুখী রাষ্ট্রীয় দর্শন, দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের কারণে এ দেশের নারীর নিম্ন মর্যাদাই নারী নির্যাতনের পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। আমাদের সমাজব্যবস্থায় সব ধরনের আইন-কানুন প্রণয়ন-প্রয়োগ- সবকিছুই বেশির ভাগ সময়ই পুরুষলোক দ্বারা সম্পন্ন হয় এবং পুরুষতান্ত্রিক মনস্তত্ত্ব দ্বারা নির্মিত হয়। কাজেই সবকিছু প্রকারান্তরে পুরুষতন্ত্রেরই সাফাই গাইবে। যদিও আমাদের দেশসহ এ অঞ্চলের অনেক দেশই নারী রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান দ্বারা পরিচালিত, তবুও এ অবস্থার কোনো মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডার পক্ষে সে কাজ করছে।