সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাতজুড়ে নিরাপদ কেনাকাটা স্বস্তিতে নারী ও শিশু নন্দিনী ডেস্ক নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এখন দিনরাত সমানতালে চলছে ঈদের কেনাকাটা। বাণিজ্যিক এই উপজেলা শহরে এখন অন্তত তিন জেলার মানুষ ভিড় করছে। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সৈয়দপুর পস্নাজা সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো মানুষের ভিড়। নারী-পুরুষ-শিশু দলে দলে গোটা বিপণিবিতানজুড়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত। রাত ১২টার পর বিপণিবিতানের নারীদের আধুনিক পোশাকের শোরুম 'পিন্ধনে' গিয়ে অন্য রকম দৃশ্য চোখে পড়ে। এত রাতেও সেখানে প্রচুর ক্রেতার জটলা। শোরুমের স্বত্বাধিকারী আহমেদা ইয়াসমিন ইলা বললেন, ঈদের কেনাকাটা এ বছর অনেক বেশি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, তৈরি পোশাকের চাহিদা ততই বাড়ছে। দিনাজপুরের খানসামা থেকে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন কলেজ শিক্ষক সামিউল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ বছর ধানের বাজার ভালো হওয়ায় ঈদবাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গ্রামের ক্রেতারাও কেনাকাটা করতে শহরে আসছেন। সৈয়দপুরে ঈদবাজার জমজমাট হওয়ার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে- ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা ও সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা। আর অসম্ভব ভালো নিরাপত্তা। এ শহরে প্রতিদিন কেনাকাটার জন্য ছুটে আসছেন দিনাজপুরের খানসামা, চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুর, রংপুরের তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা ও চিলাহাটির লোকজন। এমনকি ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় থেকেও মানুষ আসছেন বৈচিত্র্যময় পোশাক কেনার জন্য। রাতজুড়ে স্বস্তিতে ঈদের পোশাক কিনতে আনন্দিত নারীরা। পথের ভোগান্তি তবু নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা নন্দিনী ডেস্ক রাজধানীর বাস-লঞ্চ টার্মিনাল আর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ঢল। ছুটছে সবাই ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদকে ভাগাভাগি করে নিতে। তবে সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশা, পথে পথে যানজট ও পরিবহন সংকটের ভোগান্তিতে অনেকেরই নাভিশ্বাস উঠে যায়। বিশেষ করে পরিবারের নারী শিশু ও বৃদ্ধ সদস্যদের নিয়ে যাদের ঈদযাত্রা তাদের আনন্দ অনেকটাই পথেই মাটি হয়ে যায়। যাত্রী হয়রানি তো থাকেই সেই সঙ্গে বাড়তি পাওনা অতিরিক্ত গরম ও হঠাৎ প্রবল বৃষ্টির আক্রমণ। এ ছাড়া আগ থেকে সিট দখল করে ব্যবসা করে একশ্রেণির কর্মচারী। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। টিকেট কালোবাজারি ও সিট যাতে বিক্রি না হয় সে ব্যাপারে ব্যাপক নজরদারি করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও যাত্রীদের নামে আগ থেকে বুকিং নেয়া টিকেট কালোবাজারে কিছুটা চলে যায়। যাও বা টিকেট কাটা হলো তার সঙ্গে আরও যুক্ত হয় শিডিউল বিপর্যয় নামের এক বিভীষিকা। কেউ জানে না, কবে বাস বা ট্রেন আসবে। কখনো কখনো দিনের অর্ধেকটা সময় চলে যায় পরিবহনের অপেক্ষায়। হাজার হাজার নারী শিশু বৃদ্ধ ক্লান্ত শরীর নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করে থাকে কবে বাড়ি ফেরা হবে। ট্রেনে টিকেট কেটেও নিজের সিটে যেতে পারেননি এমন অভিজ্ঞতা অনেক ট্রেন যাত্রীরই আছে। এ ছাড়া আরিচায় ফেরির অপেক্ষায় কত প্রহরের পর প্রহর কেটে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবে পথের নানা ভোগান্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন নারী শিশু ও বৃদ্ধরা। হঁ্যা, তবুও বাড়ি ফেরা, নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। সব দুর্ভোগ ছাপিয়ে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নিতে এ এক অনিন্দ্য যাত্রা।