নিয়মানুবর্তিতায় গার্ল গাইডস

প্রকাশ | ১০ জুন ২০১৯, ০০:০০

রহিমা আক্তার মৌ
গার্লস গাইড হলো একটি আন্তর্জাতিক, অরাজনৈতিক, শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক যুবা আন্দোলন। স্বাস্থ্য ও চরিত্র গঠনে মানবিক গুণাবলি বিকাশে এবং একজন বালিকা বা কিশোরীকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আন্দোলনের সৃষ্টি। এর মূলমন্ত্র হলো সদা প্রস্তুত থাকা। যার অর্থ- একজন গাইড, তার মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে এমনভাবে উপযুক্ত ও উপযোগী থাকবে, যাতে করে সে যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারে। বাংলাদেশ গার্ল গাইডস কোম্পানি আয়োজনে ক্যাম্পিং-২০১৯ অনুষ্ঠিত হলো বটমলী হোমস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্যাম্পিংয়ের ক্যাম্প কমান্ডার ছিলেন অতিরিক্ত আঞ্চলিক কমিশনার, রাজধানী অঞ্চল, হোসনে আরা বেগম (স্কুলের হেনা দিদি)। সহকারী ক্যাম্প কমান্ডার লাকী ফ্লোমেন্স কোড়াইয়া। গার্লস গাইডের সদস্যদের মাঝে ব্যাজ/ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেটের দায়িত্বে ক্যাম্প কমান্ডার হোসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠিত ক্যাম্প বুলেটিন প্রস্তুতকরণে ছিলেন চন্দনা দিদি, শুভ্রা দিদি, সাজেদা দিদি ও ক্যাম্প রেঞ্জাররা। নৈপুণ্য সূচকের দায়িত্বে, হেনা দিদি, সাজেদা দিদি, চন্দনা দিদি, লাকী দিদি, শুভ্রা দিদি, সিনথিয়া দিদি ও শারমিন দিদি। ক্যাম্পের ফায়ার পরিচালনায় স্কুলের গার্লস গাইডের মেয়েরা, সহযোগিতা ও অনুষ্ঠান প্রস্তুতকরণে ছিলেন সুনীতি দিদি, লিজা দিদি। গার্লস গাইডের সদস্যরা রান্নার আয়োজন করে। খাবারের দায়িত্বে ছিলেন লাকী দিদি ও শুভ্রা দিদি। দীক্ষাদানের মাধ্যমে ক্যাম্প শুরু হয়। ক্যাম্প ফায়ারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রদ্ধেয় ফাদার কোমাল কোরাইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মেরী সীমা (এস এম আর এ)। স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মেরী দীপ্তি (এস এম আর এ), সাবেক ডেপুটি কমিশনার ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মারুফী খান। জেলা কমিশনার সেলিনা চৌধুরী। গুলশান থানা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার নাজমুন নাহার। অতিরিক্ত আঞ্চলিক কমিশনার, রাজধানী অঞ্চল হোসনে আরা বেগম। এটি এন বাংলার রন্ধন শিল্পী কাজী আলিয়া। বটমলী হোমস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী, ট্র্রেজার গুলশান বনানী গাইড জেলা মাহমুদা বেগম আপন। মাসুদা বেগম সেক্রেটারি, গুলশান-বনানী গাইড জেলা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষার্থীরা। সাবেক প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মেরী দীপ্তি (এস এম আর এ) বলেন, 'তোমরা নিজেরা মানুষ হও জীবনকে তৈরি করতে শিখ। মনে রাখবে যে শপথ নিয়ে তোমরা গাইডে এসেছ তার অবমাননা যেন না হয়। জীবনে সাফল্য আনতে হলে চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। লেখাপড়া যেমন তোমাদের শিক্ষিত করবে, সততা ন্যায়পরায়ণতা তোমাদের সুশিক্ষিত করে তুলবে।'