বাল্যবিয়েকে ইতি জানাল ইতি

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ১৩:১৩

নন্দিনী ডেস্ক
ইতি খাতুন স্বামী-সন্তান নিয়ে আজ হয়তো সুখের সংসারই করতেন। কিন্তু ইতি বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। কারণ ইতি ছিলেন নিশানাবাজ। পরিবারের সঙ্গে করেছেন যুদ্ধ। সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে হয়েছেন আর্চার। এখন তার ধ্যানজ্ঞান শুধু আর্চারিকে ঘিরে। প্রথমবার জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে নজর কেড়েছেন। ব্যক্তিগত রিকার্ভে বিকেএসপির রাবেয়াকে হারিয়ে জিতেছেন ব্রোঞ্জ। আর টুর্নামেন্টর্ যাঙ্কিং-এ হলেন চতুর্থ। বিয়েটা প্রায় হয়েই যাচ্ছিল ইতি খাতুনের। মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। বিয়ে নয়; ইতির লক্ষ্য ছিল আকাশ ছোঁয়ার। দমে যাননি। পরিবার, সমাজ এমনকি স্কুলের সঙ্গে যুদ্ধ করে নাম লেখান আর্চারিতে। প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি থেকে উঠে আসা ইতি খাতুন জানালেন তার যুদ্ধজয়ের কথা। সেখান থেকেই নজরে পড়েন তীরন্দাজ সংসদের। এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন জুনিয়র লেভেলে। আর নিজের প্রথম ন্যাশনালে হারিয়েছেন বিকেএসপির প্রতিদ্বন্দ্বীকে। তীর ধনুকের প্রেমে মজলেন ইতি, জেলা পর্যায়ের ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় ৫৯ জনের সঙ্গে লড়ে হয়েছেন প্রথম। ভালো খেলার আশা বুকে নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়, যদিও বাধা দিয়েছেন মা-বাবা। তীর-ধনুকের খেলায় চমকের নাম, চুয়াডাঙ্গার ইতি। গর্বিত বাবা বলছেন, তখন বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। দেশ সেরা আর্চারদের সঙ্গে মিলেমিশে নিজের হাতকে করেছেন পাকা। গেল নভেম্বরে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপেরর্ যাঙ্কিং এ ছিলেন সেরা ১৫-তে। নিজের সাফল্য এখনো বিশ্বাস করতে পারেন না। তবে, গত এক বছর ছিলেন জাতীয় দলের সঙ্গে। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে সেখানেই।