এভাবে আর কত!

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

রাবেয়া বেবী
ভোলা জেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাসিন্দা বাসেদ আলী মাতাব্বর। তার বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন মৃধা বাড়িতে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে গর্ভবতী হলো মেয়ে। একদিন বিকেলে যখন মেয়ে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিল তখন তার স্ত্রী আর আশপাশের প্রতিবেশী নারীরা ছিল তার পাশে। এক সময় বিকেল গড়িয়ে রাত আর রাত গড়িয়ে ভোর হলো এত সময় কষ্ট করে মেয়ে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিল, তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হলো না। এভাবেই চলল আরও একদিন। পরের দিন তার মুখে কোনো খাবার উঠল না। অবশেষে মৃত প্রায় মেয়েকে নিয়ে থানা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে যাওয়ার আগেই মেয়ে মারা গেল। দ্বিতীয় মেয়ে আয়শার বেলায়ও একই ঘটনা ঘটলো। ফরাজি বাড়ির মসজিদের ইমামের সঙ্গে কম বয়সেই বিয়ে হয় আয়শার। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেও গর্ভবতী হয়। এবার তার মা মেয়েকে আগে থেকেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী এসছেন বাসায় কিন্তু হুজরি স্বামী আর তার পরিবার চায়নি বউ থানা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে যাক।