উন্নয়নে নারীর শ্রম

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নন্দিনী ডেস্ক নারী শ্রমিকদের দুঃখগাথার শেষ নেই। যে কোনো কাজেই তারা বৈষম্যের শিকার। যেহেতু শিক্ষার হার কম সেহেতু পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকরাই প্রতিনিয়ত বঞ্চনা আর শোষণের শিকার। সমাজ কাঠামোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনাচরণ, পারস্পরিক সম্পর্ক, মূল্যবোধ। সমাজ এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তিত হওয়ার মাধ্যমে প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের মাত্রা ও তার ব্যঞ্জনা। বাংলাদেশে বেশিরভাগ অঞ্চলে নারীশিক্ষার হার আনুপাতিক হারে কম হওয়ায় বিভিন্নভাবে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অধিক মাত্রায় বিস্তৃত ও স্বীকৃত হয়েছে মূলত শ্রমিক হিসেবে। আর শ্রম দেয়ার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে নির্মাণকাজেও নারীর অংশগ্রহণ উলেস্নখযোগ্য। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ থেকে শুরু করে ঘরের কিশোরী মেয়েরাও নারী শ্রমিক হিসেবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ভবন নির্মাণ-বিনির্মাণের কাজে নিজেকে যুক্ত রাখছে। কাজের এই ক্ষেত্রগুলোয় দেখা যায় নারীরা অধিকতর শ্রম দেয়ার পরও বৈষম্যের শিকার হয়ে পুরুষের তুলনায় কম মজুরি পাচ্ছে। উচ্চৈঃস্বরে প্রতিবাদ করার সাহসও নেই। প্রতিবাদ করলে অনেক সময় প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়। এসব শ্রমজীবী নারী কিছু বলতে পারে না বলেই তাদের অন্যায়ভাবে শোষণ ও অত্যাচার করা হচ্ছে। অথচ তারাই সারাদিন খাটুনির পর বাসায় গিয়ে আবারও সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু শ্রম হিসেবে নারীর শ্রমকে খাটো করে দেখার প্রবণতা আজও সেখানেই রয়ে গেছে। সর্বোপরি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর শ্রম বিশেষ অবদান রাখছে।