শিশুর বিকাশে পর্যাপ্ত মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিত করতে হবে

শিশুর পুষ্টি অপুষ্টির বিষয়টি মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং স্তন্যপান না করানোর ফলে মায়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশে মাতৃদুগ্ধদানের হার বৃদ্ধি না পাওয়ার অন্যতম কারণ মাতৃদুগ্ধ দানের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জানাতে এবং মাতা-পিতাকে উৎসাহিত করতে সচেতনতা জরুরি।

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সরকার মাসুদ হাসান \হ শিশুকে পর্যাপ্ত মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিতকরণে বহু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তবে এর মধ্যে বড় বাধা হলো কর্মক্ষেত্রে মাতাকে সহায়ক পরিবেশ প্রদান করা। সফলভাবে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো একটি দলগত প্রচেষ্টা। আর এর সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজন প্রমাণভিত্তিক নিরপেক্ষ তথ্য এবং প্রাণবন্ত সহায়তা, যেন মা-বাবাকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শিশুকে পর্যাপ্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করানো যায়। যদিও মাতৃদুগ্ধ দান মায়ের অধিকারভুক্ত তথাপি স্বামী, পরিবার, কর্মক্ষেত্র এবং সমাজের কাছ থেকে পূর্ণসহায়তা পেলে মাতৃদুগ্ধ দানের হার বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু মাতৃদুগ্ধ মা এবং তার নিকটতম সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেহেতু এ ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ জরুরি। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১-৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হয়ে আসছে এবং ২০১০ সাল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে 'বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ' দেশব্যাপী সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সহযোগিতায় এ বছরেও বাংলাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ সফলভাবে উদযাপিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল 'শিশুকে সবসময় মায়ের দুধ খাওয়াতে মাতাপিতাকে ক্ষমতায়ন করুন'। গত ০৬ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাহিদ মালেক, এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাহিদ মালেক বলেন, 'মায়ের দুধ শিশুকে সুস্থ-সবল থাকতে সাহায্য করে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। আমাদের নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্টফিডিং করানোর পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে'। মো. আসাদুল ইসলাম, সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন। \হশেখ ইউসুফ হারুন, ভারপ্রাপ্ত সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলাম, মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। শিশুর পুষ্টি অপুষ্টির বিষয়টি মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং স্তন্যপান না করানোর ফলে মায়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশে মাতৃদুগ্ধদানের হার বৃদ্ধি না পাওয়ার অন্যতম কারণ মাতৃদুগ্ধ দানের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জানাতে এবং মাতা-পিতাকে উৎসাহিত করতে সচেতনতা জরুরি।