সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি পেশায় নারী নন্দিনী ডেস্ক বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে এসেছেন তথ্যপ্রযুক্তিতে। যদিও পোশাক শিল্প, ক্ষুদ্রঋণ, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষকতা, গবেষণা, ব্যাংকিংসহ অন্যান্য খাতে নারীর পদচারণা তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশে মোট কর্মসংস্থানের মাত্র শতকরা চার ভাগ তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। সেখানে নারীর অবস্থান তো খুঁজে না পাওয়ারই কথা। আশার কথা- নারীরা এ খাতে অংশগ্রহণে কম হলেও যোগ্যতায় পিছিয়ে নেই। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়- ১০ থেকে ১৫ বছর আগেও আইসিটি বা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে একচেটিয়া বিচরণ ছিল পুরষের। মূল কারণ কম্পিউটার তথা আইসিটি খাতে শিক্ষা, সেবা ও ব্যবসায় যারা নিয়োজিত ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। পাল্টেছে এ চিত্র। যদিও কম্পিউটার কৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলের মতো বিষয়গুলো নারীদের তেমন অংশগ্রহণ এখনো চোখে পড়ার মতো নয়। তবে আইসিটি খাতে নারীদের সম্ভাবনা যথেষ্ট। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশে এ সুযোগের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ অর্থনীতিতে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা দেশের নারীরা আইসিটি খাতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন এবং এ খাতেই কর্মজীবন ও পেশাজীবন গড়ার কথা ভাবছেন। নির্যাতন প্রবণতা ও নিয়ন্ত্রিত আচরণ নন্দিনী ডেস্ক দেশে বিবাহিত নারীদের ৮০ শতাংশই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে নিজের স্বামীর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে শারীরিক, মানসিক, যৌন কিংবা অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর এক প্রতিবেদনে। পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) ২০১১ সালের প্রতিবেদনে এ ধরনের নির্যাতনের শিকার নারীর হার ছিল ৮৭ শতাংশ। এ হিসেবে চার বছরে বিবাহিত নারীদের ওপর নির্যাতন কমেছে। ২০১৫ সালের ১৩ থেকে ২২ আগস্ট সারাদেশে ২১ হাজার ৬৮৮ জন নারীর সঙ্গে কথা বলে তারা এই প্রতিবেদন তৈরি করে। ২০১৫ সালের জরিপে অংশগ্রহণকারী বিবাহিত নারীদের ৫০ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। আর যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন ২৭ শতাংশ বিবাহিত নারী। ২০১১ সালে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের এই হার ছিল যথাক্রমে প্রায় ৪৮ শতাংশ ও ৩৭ শতাংশ। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রীর ওপর স্বামীরা নির্যাতন করেন আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য। ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী বিবাহিত নারীরা নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন সবচেয়ে বেশি। জরিপে অংশ নেয়া গ্রামের বিবাহিত নারীদের ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ জীবনের কোনো না কোনো সময় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। শহরে এই হার ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ; আর জাতীয়পর্যায়ে ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থনৈতিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেও জাতীয় ও গ্রামীণ চিত্র প্রায় অভিন্ন। গ্র্রামের ১২ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। শহরে এই হার ১০ দশকি ২ শতাংশ; জাতীয়পর্যায়ে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। জরিপে দেখা গেছে, স্বামী ও স্ত্রী শিক্ষিত হলে নির্যাতন করার প্রবণতা এবং নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা কম ঘটেছে। স্বাবলম্বী নারীর গল্প নন্দিনী ডেস্ক শতরঞ্জি বুনন ফিরে পেয়েছে তার পুরনো ঐতিহ্য। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ কাজ করছেন। তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন। তৈরি করছেন নকশাখচিত শতরঞ্জি। এই শতরঞ্জি এখন বিশ্বের ৩৬টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। হস্তজাতশিল্প থেকে বছরে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে প্রায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। শতরঞ্জিপলস্নীতে নারী- শতরঞ্জি বুননে ব্যস্ত। শিরিনা বেগম (৩৫) বললেন, 'দীর্ঘ ১০ বছর থেকে কাজ করছি।' রংপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী মারুফা বেগম দুই বছর থেকে এই কাজের সঙ্গে জড়িত। সে জানায়, পড়াশোনার ফাঁকে এই কাজ করতে বেশ ভালোই লাগছে। এতে কিছু আয় হয়। এই টাকা পড়াশোনার কাজে লাগছে। রাশেদা বেগম (৪০) আট বছর ধরে কাজ করছেন। শতরঞ্জি বুননের টাকায় যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার ভালোভাবেই চলছে। রাজিয়া সুলতানা (২৫), মাছুরা খাতুন (২২), আখিরা খাতুন (২৫), রঞ্জিনা বেগম (৪৫), আজমিয়া বেগম (২৭), মৌসুমী বেগমসহ আরও অনেকেই বললেন, হস্তজাত এই শতরঞ্জি শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের জীবনজীবিকা চলছে। প্রতিদিন একজন শ্রমিক ১০ থেকে ১৫ বর্গফুট শতরঞ্জি বুনতে পারেন। প্রতি বর্গফুটে তারা ১৫ টাকা করে মজুরি পেয়ে থাকেন।