ডেঙ্গুতে আতঙ্ক নয় চাই প্রতিরোধ, সঠিক পথ্য ও সেবা

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সব অঞ্চলের গাইডার ও গাইড মেয়েরা এডিস মশানিধন, ডেঙ্গু ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। সদা প্রস্তুতই গাইডের মূলমন্ত্র। গাইড মেয়েরা সবসময় দুর্যোগ মোকাবিলা ও আশপাশে প্রতিবেশীর সেবার কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন, রাজধানী অঞ্চলের গুলশান-বনানী গাইড জেলার জেলা কমিশনার হিসেবে আমি এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় ১০০ জন গাইড মেয়ে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এবং বিদ্যালয়ের কমিটির সদস্যদের নিয়ে ডেঙ্গু এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আলোচনা করে আসছি। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া একটি ভাইরাস জনিত জ্বর- যার বাহক এডিস মশা। এডিস মশা বাসাবাড়ির ভেতরে এবং যত্রতত্র বিভিন্ন পাত্রে ও অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। সুতরাং বেইজমেন্টে পানির ট্যাংক, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, ওয়াসার পানির মিটার, অব্যবহৃত বালতি, ড্রাম, পানি রাখার মটকা, ফুলের টব, এসি, ফ্রিজের নিচে ইত্যাদি স্থানে পানি জমতে দেয়া যাবে না। \হঅধিকন্তু বাড়ির ছাদে, উঠানে এবং দুই দালানের মাঝে সঁ্যাতসেঁতে জায়গায় পানি জমতে দেয়া যাবে না। তিন দিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। ডেঙ্গু হয়ে গেলে রোগীকে সবসময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে। জ্বর হলে যদি মনে হয় ডেঙ্গু অথবা চিকনগুনিয়া তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে হবে। নিজ থেকে কোনো ওষুধ দেয়া উচিত হবে না। রোগীকে পুষ্টি যুক্ত খাবার এবং প্রচুর তরল খাবার দিতে হবে। ডাবের পানি, লেবুর সরবত, তরমুজের সরবত, কমলার সরবত ইত্যাদি নিজে তৈরি করে খাওয়াতে হবে। এ ছাড়া মুরগির সু্যপ তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। কমপক্ষে ৪ থেকে ৮ দিন পর্যন্ত কচি মুরগি বা গরু অথবা খাসির কলিজার সু্যপ দুই বেলা ২ কাপ করে দেয়া যেতে পারে। মুরগির সু্যপের প্রস্তুত প্রণালি : ১টি কচি মুরগি ভালো করে ধুয়ে পাটায় ছেঁচে ১ চা চামচ আদা কুচি, ১ চা চামচ রসুন কুচি, ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি, ১টি এলাচ, আধা ইঞ্চি দারুচিনি, পরিমাণ মতো লবণ ও ৪ গস্নাস পানি দিয়ে সিদ্ধ করে, অল্প তাপে রান্না করতে হবে। সু্যপ তৈরি হলে ছেঁকে রোগীকে দুই বেলা খেতে দেয়া যেতে পারে। কলিজার সু্যপের প্রস্তুত প্রণালি : ১০০ গ্রাম কলিজা ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে ১ চা চামচ করে আদা ও রসুন কুচি, ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি, ১টি এলাচ, ১ ইঞ্চি দারুচিনি, ১টি তেজপাতা, লবণ সমান্য, ৩ গস্নাস পানি দিয়ে ২০ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে। তারপর ছেঁকে ২ বেলা খাওয়া যেতে পারে। মৌসুমি ফলমূল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পাকা পেঁপে, কলা, বেদানা, দুধ, ডিম প্রভৃতি দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া দুধ, সাগুদানা ও চিনি একসঙ্গে মিশেয়ে রান্না করে খেতে দেয়া যেতে পারে। সবসময় স্বভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে, রোগীর যত্ন নিতে হবে। মাসে অন্তত পক্ষে ১ দিন বিস্নচিং পাউডার দিয়ে ঘর মুছে দিতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। আমরা যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি বা আশপাশে পরিষ্কার রাখি তাহলে নানা রকম রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে পারব। আমরা সবসময় সচেতন থাকব। মেহেরুন নেসা \হরন্ধনবিদ \হজেলা কমিশনার গুলশান-বনানী অঞ্চল \হবাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন।