সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অংশীদারিত্বে আধুনিকায়ন ও মজুরি বৈষম্য এম আর মাসুদ নারীর সরাসরি অংশীদারিত্বে আধুনিকায়নে বিশ্ব আজ অগ্রসর হচ্ছে। অত্যাধুনিকতায় নারীর বিচরণ সবখানে। নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বে নারী তাদের অবস্থানকে করেছে সুদৃঢ়। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও বিশ্বায়ন পরিমন্ডলে নারীর অবদান যৎসামান্য নয়। তারপরও নারীরা অনেক ক্ষেত্রে এখনও রয়েছে অবহেলা অবজ্ঞায়। ধর্মের খোঁড়া অজুহাত আর ধর্মান্ধ ফতুয়া নারীকে আবদ্ধ করেছে অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে আমাদের দেশের গ্রামঞ্চলে এর অপতৎপরতা বেশি। এসবের পরও প্রত্যন্ত গ্রামের নারীরা এগিয়েছে। অংশ নিচ্ছে সব কাজ থেকে শুরু করে নেতৃত্ব পর্যন্ত। গ্রামের নারীরা এখন কোমরে কাপড় বেঁধে ক্ষেত খামারে কাজ করছে পুরুষের সঙ্গে সমানতালে। সে ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরাই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজের পরিচয়ও দিচ্ছে। তবে এসব নারীরা এখনও মজুরি বৈষম্যে শিকার। পুরুষের চেয়ে কাজ বেশি করে মজুরি পায় কম। আইন রক্ষাকারীদের হাতেই ভঙ্গ হয় আইন নন্দিনী ডেস্ক বাল্যবিয়ে, বহু বিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধিগুলো সমাজের অলি-গলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। শহরের জীবনযাপন পদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা, আইনের প্রয়োগ গ্রামের তুলনায় ভালো। গ্রামের কথা আমরা অধিকাংশ মানুষই মনে রাখি না, কি ক্ষমতাবান বা ক্ষমতাহীন। দেশের পুরো রূপটাকে বদলাতে হলে শেকড় থেকে পরিবর্তন শুরু করতে হবে। বাংলাদেশে এখনো শহর কিংবা গ্রাম উভয় স্থানেই বাল্যবিয়ে অহরহ হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আইন রক্ষাকারীদের হাতেই আইন ভঙ্গ হয়। কিছু স্বার্থ, অর্থলোভী ব্যক্তিদের দ্বারা কাগজের মারপঁ্যাচে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের এক মুহূর্তে প্রাপ্তবয়স্ক করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের সমাজের অসচেতন অভিভাবকরা মেয়েদের বিয়ে দিলেই যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন; কিন্তু বিবাহপরবর্তী সময়ে তাদের সন্তানের জীবন কেমন হবে, এ বিষয়টি কোনো অভিভাবকই ভেবে দেখেন না। ফলে মেয়েসন্তানকে বাবা-মায়ের ভুল সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হয় আজীবন। অনেক সময় তাদের মূল্যবান জীবনও বিসর্জন দিতে হয়। অধিকাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে শিশুরা অল্প বয়সে বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে মারা যায়। অনেক ক্ষেত্রে পুষ্টির অভাবে বাচ্চা শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। ফলে একটি ভুল সিদ্ধান্তের ফল যে কেবল কন্যাশিশুকে ভোগ করতে হয় তা কিন্তু নয়, বরং তার পরবর্তী প্রজন্মকেও ভোগ করতে হয়। কর্মজীবী মায়ের শিশুদের দিবাকালীন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নন্দিনী ডেস্ক দেশের সংবিধানে সর্বক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা উলেস্নখ থাকলেও আর্থসামাজিক নানাবিধ কারণে নারী ও মেয়ে শিশুরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এই বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে রয়েছে তার অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার অভাব। আর এ অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর সমঅংশগ্রহণ। কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থায় একজন মা তার ছোট শিশুকে কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার নিশ্চয়তা না পেলে সন্তানকে রেখে কাজের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারেন না। তাই অনেকের চাকরি করার ইচ্ছা থাকলেও সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না। এটা কেবল নিম্নবিত্ত কর্মজীবী মহিলাদের ক্ষেত্রে নয়। এ চিত্র সারাদেশের। এমনকি অনেক মহিলাও আছেন, যারা শুরুতে চাকরি করলেও সন্তান পালনের নিশ্চয়তা না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের অবর্তমানে কে দেখাশোনা করবে তার আদরের সন্তানটিকে? কোথায় থাকবে সে? ঠিকমতো খাবার খাবে তো? মায়ের মতো আদর-যত্ন পাবে তো? এমন হাজারও প্রশ্ন চাকরিতে থাকা নব্য মায়েদের। নারীদের অর্থনীতিতে সমঅধিকার নিশ্চিত করতে কর্মজীবী মায়ের সন্তানদের দিবাকালীন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে মহিলারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে কাজ করার আস্থা পাবে। সরকারের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ঢাকা শহরে সাতটি এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহর রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনাসহ মোট ১২টি ডে-কেয়ার সেন্টার নিম্নবিত্ত শ্রেণির কর্মজীবী-শ্রমজীবী মহিলাদের শিশুদের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।