দারিদ্র্য আর শিক্ষার অভাব বাল্যবিবাহ

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব ও পুষ্টিহীনতা একে অপরের পরিপূরক। কারণ যেখানে দরিদ্রতার হার বেশি সেখানে শিক্ষার অভাব। শিক্ষার অভাব যেখানে দরিদ্রতার সঙ্গে সংযোগ, সেখানে বাল্যবিবাহ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। শিক্ষার অভাবে মেয়েরা নিজেদের ভালোমন্দ বিচার করতে পারে না। দরিদ্রতার কারণে বিয়েটাই তাদের কাছে মুখ্য ব্যাপার হয়ে যায়। অভিভাবকদের মনে হয় বিয়ে দিলেই মিলবে মুক্তি। মুক্তির পরিবতের্ নিজের মেয়ের দুঃখ আরও বাড়িয়ে দেয়, এটা তারা বুঝতে পারে না। তার প্রধান কারণ দারিদ্র্য আর শিক্ষার অভাব। যদি শিক্ষার আলো ওই সমাজে থাকত, তাহলে তাদের মেয়েদের এভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হতো না। অপরিণত বয়সে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং পুষ্টিহীনতার শিকার হতে হতে শারীরিক ও মানসিকভাবে কমর্ক্ষমতা হারাতো না। আর মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলে অধিক সন্তান জন্ম ও মৃত্যুহার দুটোই বেড়ে যায়। কারণ অল্পবয়সী মেয়েদের ম্যাচিউরিটি না আসায় সন্তান জন্মদানের ব্যাপারে তাদের নিজস্ব মতামতের কোনো মূল্য থাকে না। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, পুষ্টি কী সেটাই তারা বোঝে না। একজন গভর্বতী মায়ের যে পরিমাণ পুষ্টির প্রয়োজন হয়, পূবের্র চেয়ে বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করতে হয় এবং সন্তান যাতে পুষ্টিহীনতায় না ভোগে, সেজন্য গভর্কালীন সময়ে যতœ, বিভিন্ন ভিটামিনযুক্ত খাবার গ্রহণ, নিরাপদ প্রসবÑ এসব বিষয়ে অজ্ঞতার কারণেই বাল্যবিবাহ খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে একজন কিশোরীর ওপর।