রুনার টার্কি খামার

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মো. নজরুল ইসলাম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বাসার ছাদে টার্কি পালন করে সাড়া ফেলেছে রুনা বেগম নামের এক গৃহিণী। পৌর শহরের ঝড়কা বাজারের দক্ষিণ পাশে নিজের চারতলা বাসার ছাদে শখের টার্কি পালন করে অনেকটা স্বাবলম্বী রুনা। রুনার ছাদে শখের টার্কি খামারে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে জালের বেড়া দিয়ে টার্কি পালন করছেন তিনি। শখের বশে ৩টি টার্কি মুরগি দিয়ে তার খামারটি প্রথমে শুরু করেন। ১১ হাজার টাকায় ৩টি মুরগি ক্রয় করেন। বর্তমানে তার খামারে বাচ্চাসহ ৬০টি মুরগি রয়েছে। প্রতি মাসে ২০ কেজি মুরগি আশপাশের বাজারে বিক্রি করেন। খরচ বাদে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা এই খামার থেকে লাভ হয় বলে জানা গেছে। রুনার ছাদে শখের টার্কি খামার প্রসঙ্গে মধুপুরের সফল নারী উদ্যোক্ততা চিরকুমারী প্রতিভা সাংমা বলেন, বাবা-মায়ের কাছে ২ টাকার জন্য হাত না বাড়িয়ে বাড়িতে লেবু, পেঁপে, শসা, করলা চাষসহ হাঁস-মোরগি পালন করে তা বাজারে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করা ভালো উদ্যোগ। ছাদে শখের টার্কি খামারের ব্যাপারে রুনা বলেন, একটি টার্কি মুরগি বছরে ৮০ থেকে ১২০টি ডিম দেয়। তিনি আরও বলেন, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর একটি মেশিনও ক্রয় করেছেন তিনি। বাচ্চা টার্কি ও বড় টার্কি মুরগির জন্য আলাদা আলাদা জায়গা করা হয়েছে। এসব মুরগির খাদ্য হিসেবে দেয়া হয় কচুরিপানা, গম ও ভুট্টা। এখানে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোও হয়। একদিন বয়সী টার্কি মুরগি ২৫০ টাকা এবং এক মাস বয়সী টার্কির ৬০০ টাকায় বিক্রয় করা হয়। টাঙ্গাইলের বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা করে টার্কির মাংস বিক্রি করা হয়। বর্তমানে তার খামারে ৩ লাখ টাকারও বেশি মূলধন রয়েছে। তিনি বলেন, ঘর সামলানোর পাশাপাশি আমি এ টার্কি খামার করছি। এ খামার থেকে এখন আমার ভালো একটা আয় হচ্ছে। যা দিয়ে আমি লেখাপড়ার খরচের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি টাকা সঞ্চয় করতে পারছি। এ ছাড়া এ মুরগি পালন দেশি ও ফার্মের মুরগির চেয়ে সহজ। দুর্গন্ধও কম হয়।