নারী পাক তার শ্রমের মূল্য

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
য় নন্দিনী ডেস্ক ইট ভাঙার কাজ করেন ২৯ বছর বয়সী সালমা। প্রতিদিন ভোর ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে নগরীর মাতুয়াইল এলাকার ইট ভাঙার কাজের জায়গায় হাজির হতে হয়। সঙ্গে নিয়ে আসতে হয় মাত্র সাড়ে সাত-মাস বয়সী বাচ্চাকেও। কারণ, সে ছাড়া বাচ্চাটাকে দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই। থাকেন যাত্রাবাড়ীর এক বস্তিতে। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত একটানা কাজ করতে হয় তাকে। শুধু দুপুরে খাওয়ার জন্য ৪৫ মিনিট ছুটি পান কাজ থেকে। আর বাচ্চা সঙ্গে থাকায় কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে বাচ্চার দেখাশোনা করার সুযোগ পান সালমা। সারাদিন কাজ শেষে বাসায় পৌঁছে কিন্তু তার শুয়ে-বসে বিশ্রাম নেয়ার কোনো সুযোগ নেই তার। গোসল করেই ঢুকতে হয় রান্না ঘরে। সবার জন্য রান্না শেষ করে, সবার খাওয়া শেষে তারপর নিজে খেয়ে যখন বিছানায় যান তখন রাত প্রায় সাড়ে ১১টা। পরদিন আবার ভোর ৫টার মধ্যে উঠে সবার জন্য খাবার তৈরি করতে হয় তাকে। প্রায় সময়ই ভোর বেলা নিজে কোনো কিছু না খেয়েই ছেলেকে নিয়ে চলে যান মাতুয়াইলে। ফাহমিদা পেশায় ব্যাংকার। বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেন আরেক ব্যাংকারকে। বছর ঘুরতেই তাদের কোলজুড়ে আসে এক মেয়ে সন্তান। তার নিত্যদিনের জীবনটাও অনেকটা সালমার মতোই। ফাহমিদা বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে গুলাশন-১-এ আমার অফিসে পৌঁছাতে হয়। বাসা নগরীর মধ্য বাড্ডা এলাকায়। সকাল সাড়ে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে সবার জন্য নাশতা রেডি করি। তারপর নিজে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করে অফিসের গাড়ির জন্য যখন রাস্তায় পৌঁছাই তখন ঘড়ির কাঁটা ৮টা ২০-এ। অফিস শেষ করে বাসায় পৌঁছাই সাড়ে সাতটার সময়। আসার সময় আমার বাবার বাড়ি থেকে বাবুকে নিয়ে তারপর বাসায় ফিরি। এরপর বাবুর খাবার রেডি করে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিই। তারপর আমাদের রান্না-বান্না শেষ করে খেতে খেতে রাত প্রায় সাড়ে ১১টা বেজে যায়। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে সালমা, ফাহমিদাসহ লাখো নারীর কর্মজীবন আর সংসার। তারা দুই হাতে একই সঙ্গে সামলাচ্ছেন সংসার ও কর্মস্থল।