মিতাশার উদ্যোক্তা যাত্রা

হাতের কিছু কাজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিলাম। খুবই কম মূলধন ছিল। খুব খুব সামান্য। আস্তে আস্তে আমার কাজের ব্যাপক সাড়া পেলাম। তখন নিজের কাছেও অনেক উৎসাহ পেলাম'

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

বেনজির আবরার
নারী উদ্যোক্তা মিতাশা
মিতাশা যখন শুরু করেন তখন সাল ২০১৪। যদিও শুরুটা এতটা সহজ ছিল না, স্নাতক প্রথমবর্ষের ছিলেন তখন এবং বিবাহিত। মিতাশা বললেন, 'আমাদের সমাজে বিবাহিত মেয়েদের ঘরের কাজ বাদে বাইরের আলাদা কোনো সেক্টরে কাজ করাটা মোটেও সহজ ছিল না, আমার পড়ালেখার ফাঁকে অবসর সময় কিছু করব ভেবেই তখন অনলাইনে পেইজ খুলে ফেললাম। আর হাতের কিছু কাজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিলাম। খুবই কম মূলধন ছিল। খুব খুব সামান্য। আস্তে আস্তে আমার কাজের ব্যাপক সাড়া পেলাম। তখন নিজের কাছেও অনেক উৎসাহ পেলাম। তারপর হিজাব নিয়ে কাজ শুরু করলাম, অনলাইনে তখন এখনকার মতো এত বেশি পেইজ ছিল না, তখন হাতেগোনা ২-৩টা ভালো পেইজ ছিল যেখানে হিজাব বিক্রয় হতো। তাই ভাবলাম কম দাম এবং ভালো কোয়ালিটির মধ্যে যদি ভালো কিছু জিনিস সবার কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। আমার প্রথম আমদানি করা হিজাব এনে দেয় আমার স্বামী। আর প্রথম আবায়া, বোরকার কালেকশন এনে দেন আমার বাবা। এভাবে আস্তে আস্তে আমার ইম্পোর্ট করা শুরু হয়। বর্তমানে ইন্ডিয়া থেকে কসমেটিক্স এবং ড্রেস আনা হয় আমার বড় ভাইয়ার মাধ্যমে। যেহেতু, নিজের আপন লোকের মাধ্যমে আমি ইম্পোর্ট করি, তাই সবার কাছে মোটামুটি কম মূল্যে ভালো জিনিস পৌঁছে দিতে পারছি... এখন প্রতিনিয়ত শত শত পিস হিজাবের অর্ডারের ডেলিভারি দেয় আমার বিক্রয়। ৪ বছর এর বেশি সময় হলো আমার বিজনেস চালাচ্ছেন মিতাশা। আর সবার কাছে একটাই দোয়া চান যেন একদিন অনেক বড় আর সফল নারী উদ্যোক্তা হতে পারেন, যেন তাকে দেখে ঘরে বসে থাকা অন্য নারীরা সাহস পায় কিছু করার, নারীরা যেন তাদের নিজেদের ব্যর্থ মনে না করে। যে যতটুকু পড়ালেখা করেছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে যেন নিজে কিছু করতে পারে।