বিকশিত হোক নারীর মানবিক সত্তা

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
নারীর মধ্যে বহু সত্তা থাকে, সত্তা বিভাজন অর্থে নারীর ধর্মীয়, জাতিগত সত্তা থাকে, শ্রেণিগত সত্তা থাকে, সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থান অনুযায়ী তার ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় থাকে। পর্দার অনুশাসনে, তখন গৃহিণী নারী গৃহশ্রমের স্বীকৃতি, মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রবেশ করে কারখানায় মালিকের সস্তা শ্রমিক হিসেবে। সেখানে নারী সবচেয়ে সস্তায় তার শ্রম বিক্রি করে তখন আবার পুঁজিবাদের কাছে কাঙ্ক্ষিত উপাদান হিসেবে হাজির হয়। এখানে চলে নিপীড়ন, শ্রমবৈষম্য, মজুরিবৈষম্য, কম দামে বেশি নেয়ার প্রবণতা। সস্তা শ্রমের প্রয়োজনে পুঁজি নারীকে ঘরের ক্ষুদ্র গন্ডি থেকে বের করে আনে বৃহত্তর উৎপাদন জগতে। আবার সমান মজুরির কথা, সম্পত্তির সমান অধিকারের কথা উঠলে নারীকে অধস্তন, নির্ভরশীল হিসেবে হাজির করে ধর্মীয় অনুশাসনের দ্বারা। নিজ স্বার্থে তখন মৌলবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে পুঁজি এবং প্রকারান্তরে পুঁজির পক্ষেই উদ্ভব হয়েছে সব মৌলবাদী শক্তি এবং রাষ্ট্র তখন ক্ষমতাকে নির্ঝঞ্ঝাট করার দৃশ্যমান শক্তিরই পক্ষাবলম্বন করে এবং নারীকে বারবার ব্যবহার করে তার হাতিয়ার হিসেবে। সেখানেও নারী ক্ষমতা গ্রহণের জন্য, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে দাঁড়ায়, যা কখনো কখনো নারীর জীবনকে এতটাই অনিরাপদ করে তোলে যে, নারীর মানবিক সত্তা বিকাশের পথই রুদ্ধ হয়ে যায়।