নারীর মূলধারার কার্যক্রমে মেরিটাইম

মেরিটাইম সেক্টরে পুরুষের পাশাপাশি নারীও সফলতা অর্জন করতে মেরিটাইম কার্যক্রমের মূলধারায় নারীর অন্তর্ভুক্তি, মেরিটাইম প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, মেরিটাইম সেক্টরের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

তানিয়া ইসলাম
১৯৮৮ সালে আইএমও মেরিটাইম ক্ষেত্রে নারী অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। পরের বছর নারীকে মূলধারার কার্যক্রমের মাধ্যমে মেরিটাইম প্রশিক্ষণে সমান সুযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে শুরু করে 'আইএমও উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম'। এই প্রোগ্রামের আওতায় পরবর্তীতে সুইডেনের ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (ডাবিস্নউএমইউ) এবং মাল্টার ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ল ইন্সটিটিউটে নারী শিক্ষার্থী উলেস্নখজনক হারে বৃদ্ধি পায়। এখানে মেয়েদের জন্য ৫০ শতাংশ সিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোবে ইউনিভার্সিটি অফ মার্কেন্টাইল মেরিন (জাপান), অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম কলেজ, কানসান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (কোরিয়া) এবং সাংহাই মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানেও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিভিন্ন জাহাজ জরিপকারী ও শ্রেণিকরণ সংস্থার চাকরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে মেরিটাইম অঙ্গনের নারীরা। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আইএমও পরিচালিত ডাবিস্নউএমইউর ১৪টি শাখার একটি বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি (বিএমএ)। ২০১২ সাল থেকে বিএমএ নারী ক্যাডেট ভর্তি নিচ্ছে। ফলে সমুদ্রগামী জাহাজে বাংলাদেশের নারীদের মুখও পরিচিত হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। খুব শিগগিরই ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির অংশীদারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিএমএর। তা হলে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকেই অনেক কম খরচে ডাবিস্নউএমইউর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা যাবে। এ ছাড়া মেরিটাইম শিক্ষাকে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও চারটি মেরিন একাডেমি এবং বিভাগীয় পর্যায়ে নাবিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সরকার। সে ক্ষেত্রে মেরিটাইম শিক্ষায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ ও গুণগত মান আরও বিস্তৃৃত হবে বলে আশা করা যায়। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করা হলে তা আরও ফলপ্রসূ হবে। যেমন- ভারত মেরিটাইম শিক্ষায় নারীদের জন্য ৫০ শতাংশ বেতন মওকুফ এবং নূ্যনতম বয়স ২ বছর শিথিল করায় সেখানকার নারীদের মধ্যে মেরিটাইম শিক্ষায় অংশগ্রহণ অনেক বেড়ে গেছে এবং ইতিমধ্যেই তারা বেশ কয়েকজন নারী চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা ক্যাপ্টেন পেয়েছে। আইএমও বিশ্বাস করে মেরিটাইম সেক্টরে পুরুষের পাশাপাশি নারীও সফলতা অর্জন করতে পারে। আইএমও উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য- মেরিটাইম কার্যক্রমের মূলধারায় নারীর অন্তর্ভুক্তি, মেরিটাইম প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, মেরিটাইম সেক্টরের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।