প্রতিবন্ধী নারীদের সার্বিক উন্নয়ন

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রথম প্রতিবন্ধী আইন হয় 'বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন' নামে। প্রতিবন্ধীদের জন্য এটাই ছিল প্রথম আইনি স্বীকৃতি। পৃথিবীজুড়ে ৬০ কোটির বেশি প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে রয়েছে আনুমানিক ৫৮-৬৩ শতাংশ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১০ শতাংশই প্রতিবন্ধী। আমাদের সমাজে কোনো পরিবারে প্রতিবন্ধী কোনো শিশু জন্মালে সেই শিশুকে নিয়ে বাবা-মা খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। শিশুকে নিয়ে ঘর থেকে বের হন না। লোকচক্ষুর আড়ালে তাকে রাখা হয়। এমনকি লুকিয়ে রাখা হয়। কারও কাছে তার কথা বলাও হয় না। এরকম পরিস্থিতিতে তার অধিকারের কথা খুব সহজেই উঠে আসে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রতিবন্ধীবিষয়ক জাতীয় নীতিমালা (১৯৯৫), বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন (২০০১) এবং প্রতিবন্ধীবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০০৬) সংক্রান্ত তিনটি দলিলই অনুমোদিত হয়েছে বিভিন্ন সরকারের একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুযায়ী এসব দলিল বাস্তবায়নে পরবর্তী সরকার তেমন আর আন্তরিক থাকে না। প্রতিবন্ধীবিষয়ক জাতীয় নীতিমালা হয়েছে ১৯৯৫ সালে। নীতিমালায় সমাজকে হয় নারী-পুরুষ বৈষম্যমুক্ত ভেবেছে, নয়তো প্রতিবন্ধিতার আলোচনাকে বিচ্ছিন্ন বা বিশেষ কোনো বিষয় ভেবেছে প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন ২০০১ ও জাতীয় প্রতিবন্ধী নীতিমালা ১৯৯৫-এ উভয়ের পূর্বানুমান হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা 'অক্ষম', এরা 'বিপদে পড়া' একটি জনগোষ্ঠী, এরা পারে না, এবং বিষয়টি মূলতই চিকিৎসার একটি বিষয়। 'বিওয়াকো মিলেনিয়াম ফ্রেমওয়ার্ক ফর অ্যাকশন (বিএমএফ) হলো ২০০২ সালে এসকাপের তৎপরতায় এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য নীতিমালার কাঠামো। এ কাঠামো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি বাধামুক্ত ও অধিকারভিত্তিক সমাজ গঠনে প্রত্যয়ী।