সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নারী শ্রমিকের বিদেশ পাড়িতে নিরাপত্তা বিধান য় নন্দিনী ডেস্ক দেশের যেসব নারী শ্রমিক শ্রম বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, তাদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চলছে তার খবর কেউ রাখছে না। বিদেশে নারী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিকারে সরকারকে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। আর না হলেও বিদেশে নারীদের কাজ করার সুযোগ, ঝুঁকি, চ্যালেঞ্জ ও সক্ষমতা সম্পর্কে আগেভাগেই বিদেশ গমনেচ্ছুদের অবহিত করা জরুরি। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন এবং প্রতিকূল অবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের করণীয় সম্পর্কে প্রস্তুত করাও আবশ্যক। সরকারের উচিত নারী শ্রমিক পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে কঠিন শর্তে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি যথাযথভাবে সম্পাদন করে নিজ দেশের দূতাবাসগুলোকে কঠোর নজরদারি করার ব্যবস্থা করা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী যাতে কোনোভাবেই আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সবার আগে নির্যাতনের শিকার যে নারী শ্রমিকরা বিভিন্ন দেশে বন্দি অথবা আত্মগোপন করে আছে তাদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারি উদ্যোগ খুবই জরুরি। দালাল ও প্রতারকচক্রের হাত থেকে দেশের গরিব, অশিক্ষিত নারীদের সুরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। লোভে পড়ে গরিব অসহায় অশিক্ষিত নারীদের দালালদের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার নামে জীবনের ঝুঁকিতে পড়তে হয় এ কথাও মিথ্যা নয়। বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকদের পাওনা মজুরি আদায় ও তাদের নিরাপত্তা বিধান করতে সরকারিভাবে কূটনৈতিক সমর্থন এ মুহূর্তে আগে দরকার। কন্যাশিশু অভিশাপ নয় য় নন্দিনী ডেস্ক বিশ্বে মোট জনসংখ্যার ১৫ ভাগ কন্যাশিশু। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ; কিন্তু এই কন্যাশিশুরা নানা দিক দিয়ে এখনো অবহেলিত। তারা নিরাপত্তাহীনতা আর অপুষ্টির শিকার- ঘরে-বাইরে, সবখানে। বিজ্ঞান প্রবলভাবে প্রমাণ করে- শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ ক্ষমতা পিতার হাতেই- তবু কন্যাশিশু জন্ম দেয়ার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারছেন না শিক্ষিত-অশিক্ষিত অনেক নারী। ছেলেসন্তান এবং মেয়েসন্তানের পার্থক্য আজ নতুন নয়। যদিও অনেকাংশেই এখন ভেদাভেদের তারতম্য কমেছে। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তার নতুন রূপ ধারণ করেছে পুরনো অভ্যাসের আড়ালে। এখন একটি কন্যাশিশুর আগমনে পরিবারের মানুষের মুখে ও মনে আনন্দের ব্যাপার কাজ করলেও সঙ্গে জন্ম নেয় অসংখ্য চিন্তা। শিশুর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে এই চিন্তাগুলো। আকারে ও পরিসরে বড় হওয়ার সঙ্গে এ ব্যাপারগুলো দাগ কাটতে থাকে সেই শিশু সন্তানটির কোমল মনের ওপর এবং এই ব্যাপারগুলো কেবল দাগই কাটে না বরং একটা নির্দিষ্ট জায়গা করে নেয়। যা তাকে ভবিষ্যতে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পদে পদে বাধার দেয়াল ডিঙাতে হয়। ছোট থেকেই কন্যাশিশুটি বুঝতে পারে, তার জন্য এই পৃথিবীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই স্থান ভাগ করে দেয়া আছে, হোক তা বাড়ি বা খেলার মাঠ কিংবা পাঠশালা। আর এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যখন কন্যাশিশুটি বড় হতে থাকবে, তখন তার মধ্যে গুটিয়ে যাবে তার প্রতিভা, তার মতামত প্রকাশের ভাষা ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা। আমাদের সমাজব্যবস্থায় নারীর অধিকার য় নন্দিনী ডেস্ক দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, ধর্মীয় কুসংস্কার প্রভৃতি বিষয়কে দায়ী মনে করা হলেও নারী নির্যাতনের মূল কারণ নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক সম্পর্ক। নারীর অবস্থান অধস্তন। প্রবল পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক মূল্যবোধ, বাজারমুখী রাষ্ট্রীয় দর্শন, দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের কারণে এ দেশের নারীর নিম্ন মর্যাদাই নারী নির্যাতনের পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। আমাদের সমাজব্যবস্থায় সব ধরনের আইন-কানুন প্রণয়ন-প্রয়োগ- সবকিছুই বেশির ভাগ সময়ই পুরুষলোক দ্বারা সম্পন্ন হয় এবং পুরুষতান্ত্রিক মনস্তত্ত্ব দ্বারা নির্মিত হয়। কাজেই সবকিছু প্রকারান্তরে পুরুষতন্ত্রেরই সাফাই গাইবে। আমাদের দেশসহ এ অঞ্চলের অনেক দেশই নারী রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান দ্বারা পরিচালিত, তবুও এ অবস্থার কোনো মৌলিক পরিবর্তন হয়নি।