সারা বিশ্বে নারীদের বিভিন্ন ধরনের পত্রিকা

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েদের জন্য যেসব পত্রিকা আছে তার নাম কসমোপলিটন অথবা ভোগ, ভারতে মেরী সাহেলী, ফেমিনা অথবা সানন্দা। পূর্ব আফ্রিকায় আফ্রিকান ওমেন, জার্মানিতে এমা, ফ্রয়েন্ডিন অথবা ব্রিগিটে, ফ্রান্সে এল এবং বাংলাদেশে বেগম। সারা বিশ্বে রয়েছে হাজারো রকমের পত্রিকা যেগুলো প্রকাশিত হয় শুধু মহিলাদের জন্য ঠিক কোন ধরনের লেখা উপহার দেয়া হয় এসব সাময়িক পত্রে- কোন ধরনের সমস্যা নিয়েই বা আলোচনা করা হয়। সে সব সমস্যার কী সমাধান দেয়া হয়। নারী অধিকার, নারী আন্দোলন বা নারীর স্বাধীনতার কথাও কি বলা হয়? বিশ্বের সব প্রান্তের মহিলাদের কি এসব পত্রিকা ছুঁয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে? এসব প্রশ্ন উঠতেই পারে। ১৮৮৬ সালে সর্বপ্রথম আমেরিকায় কসমোপলিটন প্রকাশিত হয়। নিয়মিত কোনো মহিলাবিষয়ক পত্রিকার আত্মপ্রকাশ সেই প্রথম। সব ধরনের বিষয় নিয়েই লেখালেখি করা হয় কসমোপলিটনে। স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছাড়াও নতুন নতুন বিষয়ও তুলে আনা হয়। ১৯৬০ সালে কসমোপলিটনকে নারীদের ম্যাগাজিন হিসেবে রূপায়িত করা হয়। এরপর থেকে প্রায় ৩০টিরও বেশি ভাষায় কসমোপলিটন অনূদিত হচ্ছে এবং সারা বিশ্বে প্রায় ১০০টিরও বেশি দেশে কসমোপলিটন পত্রিকার দোকানে বা স্ট্যান্ডে শোভা পাচ্ছে উগান্ডার ফ্যাশন ডিজাইনার সিলভিয়া ওয়োড়ী তিন বছর আগে আফ্রিকান উওমেন প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রতি মাসে প্রায় দেড় হাজার কপি ছাপা হয় এবং আফ্রিকার পাঁচটি দেশে তা পাঠানো হয়। উগান্ডা, রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, কেনিয়া এবং সুদান। সিলভিয়া বললেন, আমরা শুধু আফ্রিকার মহিলাদের দিকেই তাকাচ্ছি না- যখন কোনো আফ্রিকান মহিলা তার সমস্যার কথা তুলে ধরে তখন সারা বিশ্বের মহিলারাই সে সব সমস্যার প্রতিফলন নিজেদের মধ্যে দেখে, তারাও একাত্মতা বোধ করে। যে ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা আফ্রিকান মহিলারা প্রতিদিন তা শুধু আমাদের একার সমস্যা নয়। ইউরোপ, আমেরিকার মহিলারাও একই সমস্যায় ভুগছেন; কিন্তু আফ্রিকায় আমাদের সমস্যা বা চ্যালেঞ্জের তীব্রতা বেশি। কারণ দারিদ্র্য এখানে ডানা মেলে আছে। এখানে আমাদের কোনো ধরনের অধিকার নেই, আমরা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না। সিলভিয়া ওয়োড়ী আফ্রিকান উওমেন পত্রিকার মধ্যদিয়ে আফ্রিকার মহিলাদের না বলা কথাগুলোই বলতে চান। সিলভিয়া আরও জানান, প্রতি মাসে একটি মেয়েকে আমরা নির্বাচন করি। তাকে উওমেন অফ দ্যা মান্থ- মাসের সেরা নারী ঘোষণা করা হয়।আমরা তাদেরই বেছে নিই যারা জীবনে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন, অনেক উপরে উঠেছেন, এগিয়ে গেছেন বিশেষ করে পুরুষশাসিত এই সমাজে যে কোনো মহিলার জন্য তা বেশ কঠিন। আমাদের দেশে এখনো খুব বেশি মহিলা সংসদ সদস্য নেই; কিন্তু যারা আছেন তাদের নিয়ে অবশ্যই আমরা গর্ববোধ করি। যখন আমরা তাদের কথা বলি, তাদের এগিয়ে যাওয়া এবং সংগ্রামের কথা সবাইকে জানাই তখন স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য মেয়েরা তাতে উৎসাহিত হয়। তারাও জীবনে কিছু করতে চায়। মেয়েরা তাদের দৈনন্দিন সমস্যার কথা জানিয়ে পত্রিকায় চিঠি লেখে বা প্রশ্ন করে এবং সে সব প্রশ্নের উত্তরও দেয়া হয়। সেখানে নির্যাতন, অত্যাচার, ধর্ষণের ঘটনা কোনো কিছুই বাদ যায় না।