মায়েরাই সন্তানের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

সমাজব্যবস্থায় নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। রক্ষণশীলতা থেকে এখন আমরা অনেকটাই বেরিয়ে এসেছি। মায়েদের সন্তানের মধ্যে পরিবর্তনের শিক্ষা ও ভিত্তি গড়ে দিতে হবে। মায়েরাই সন্তানের আদর্শলিপি, বাল্যশিক্ষা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সুমাইয়া নাহার
সমাজব্যবস্থায় নারীদের প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। রক্ষণশীলতা থেকে এখন আমরা অনেকটাই বেরিয়ে এসেছি। মায়েদের সন্তানের মধ্যে পরিবর্তনের শিক্ষা ও ভিত্তি গড়ে দিতে হবে। মায়েরাই সন্তানের আদর্শলিপি, বাল্যশিক্ষা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সম্প্রতি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেছেন। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ধারণশক্তি অনেক বেশি উলেস্নখ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দাপ্তরিক কর্মকান্ডে অনেকেই আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা ধারণ করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে দাপ্তরিক দায়িত্ব নারীরা নিজের মধ্যে সফলভাবে ধারণ করেন বলে আমার মনে হয়। আমি চাই সবাই মিলে এ জায়গা ধারণ করবে। নারীদের উদ্দেশে শ ম রেজাউল করিম বলেন, নিজেদের শুধু নারী ভাবা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চোখ বন্ধ করে বিবেচনা করে দেখেন- তাকে দল সামলাতে হয়, প্রশাসনিক দিক সামলাতে হয় আবার মন্ত্রী-এমপিরা কী করছেন তাও দেখতে হয়, বিরোধী দলের রাজনীতি দেখতে হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকান্ড দেখতে হয়, বিশ্ব কূটনীতি দেখতে হয়। দেশকে তিনি সফলভাবে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সদস্যদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বড় বড় উন্নত দেশও এরকম নারীদের ফোরাম গঠনের কথা কল্পনা করতে পারেনি, যা আপনারা করেছেন। আপনারা এগিয়ে যাচ্ছেন, আপনারা এগিয়ে যাবেন। এভাবে আমরা সবাই এগিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অদম্য, দুর্বার প্রবহমান স্রোতে সবার একাত্ম হওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, শৌখিনতাকে আমরা যত পরিহার করতে পারি, আমরা তত ভালো থাকব। শৌখিনতাকে প্রসাধনী বা অলঙ্কার ব্যবহার করা হিসেবে দেখতে চাই না। শৌখিনতা হোক কাজ করার মাধ্যমে সাফল্যের শৌখিনতা। আপনাদের সবার ভেতর বেগম রোকেয়া, কবি সুফিয়া কামাল, ড. নীলিমা ইব্রাহিম এবং শেখ হাসিনার দুঃসাহসী প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই। কারণ এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধে তারা সাফল্য দেখিয়েছেন।