শহিদের স্মরণে মিনার

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একুশ আমাদের গর্ব, একুশ আমাদের অহংকার, যা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে পৃথিবীর মানচিত্রে গৌরবময় ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষাও তার নিজস্ব মহিমায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২১ ফেব্রম্নয়ারি শব্দটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে মাথা নত হয়ে আসে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ শহিদদের মুখ। অনুরণন হয় 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'। ভাষা দিবসে সম্মান জানাতে এক মা তিল তিল করে জমানো টাকায় গড়ে তুললেন শহিদ মিনার। নিজের জমানো ৩৬ হাজার টাকায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার প্রতিমাবংকী পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করেন আলেয়া ফেরদৌসী। এই স্কুলেরই সহকারী শিক্ষিকা তিনি। এই স্কুলটিতে আগে কোনো স্থায়ী শহিদ মিনার ছিল না। ফলে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না স্কুলের পড়ুয়ারা। মিনার স্থাপনের পর থেকে ২১ ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের মানুষ ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করতে পারছে। গতবছর এই মিনারে প্রথমবারের মতো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হলে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল সেকি উত্তেজনা। আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, 'আমাদের গ্রাম থেকে সখীপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারটি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। এ গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের কখনো সেখানে গিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো না। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রম্নয়ারি শহিদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর স্কুলে একটি শহিদ মিনার তৈরির স্বপ্ন জাগে। এর পর থেকে প্রতি মাসের বেতন থেকে সাংসারিক খরচ মিটিয়ে উদ্বৃত্ত টাকা জমানো শুরু করি।' এরপর ২০১৭ সালে স্কুল পরিচালন কমিটিকে এ বিষয়ে জানান আলেয়া ফেরদৌসী। কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন তিনি। ধাপে ধাপে এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। য় নন্দিনী ডেস্ক