‘পুলিশ অফিসার হওয়ার সংকল্পবদ্ধ ছিলাম’

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

আমজাদ হোসেন ফাহীম
শেখ সুরাইয়া ঊমির্
এসএসসি-এইচএসসিতে কাক্সিক্ষত ফল করায় বাবা-মা চেয়েছিলেন মেডিকেলে পড়ি তবে নিজের ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়া। অনিচ্ছাসত্তে¦ও তাদের কথামত মেডিকেলের কোচিং করি কিন্তু অল্পের জন্য চান্স হয় না। তখন একেবারে ভেঙে পড়ি কারণ আর কোথায়ও ফরম তোলা হয়নি। সেকেন্ড টাইম তাদের কথামত আবার ও মেডিকেলের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেই। কিন্তু এবার ও হলো না! তখন পুরো হতাশ হয়ে যাই। পরবতীের্ত নিজের পছন্দের বিষয়ে আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভতির্ হইÑ কথাগুলো বলছিলেন ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত শেখ সুরাইয়া ঊমির্। শেখ ওমর আলী ও রমেচা ওমরের সুযোগ্য ৈ জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ সুরাইয়া ঊমির্। ৪ ভাই-বোনের মধ্যে ঊমির্ সবার বড়। বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জে হলেও ঊমির্ জন্মেছেন নেত্রকোনায়। বাবা পুলিশের (এসআই) সরকারি কমর্কতার্ হওয়ার সুবাদে তাকে পড়তে হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলাতে। যশোরের পুলিশ লাইন স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে ২০০৫ সালে এসএসসি ও বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে যথাক্রমে ২০০৭ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান। হতাশা নিয়েই অনাসের্ ভতির্ হন। প্রথম প্রথম দিনগুলোও কেটেছে অনেক কষ্টে। তবে ঊমির্ ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নেন বিভিন্ন ক্লাবের সাথে যুক্ত করে (ডিবেটিং ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, আইটি ক্লাব) । অনাসের্ ৩.৭৪ নিয়ে উত্তীণর্ হন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ থেকে ৩.৮৬ লাভ করেন। বাবা পুলিশের এসআই থেকে যেদিন বিদায় নিতে গিয়ে পুলিশের পোশাক জমা দিয়ে বাসায় আসেন সেদিন বাবা কান্নায় চোখ ভেজালেন। সেদিনই ঊমির্ মনে মনে সংকল্পবদ্ধ হন, যে করেই হোক আমাকে পুলিশের বড় কমর্কতার্ হতেই হবে। সেদিন থেকেই বিসিএস পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বিসিএসে সফলতায় কোন বিষয়গুলো এগিয়ে রেখেছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ঊমির্ বলেন, ছোটবেলা থেকেই অঙ্ক, বিজ্ঞান, ও ইংরেজিতে অনেক ভালো ছিলাম। অঙ্কে ভালো করার কারণে স্যাররা আমায় অনেক অনুপ্রাণিত করত ও ভালোবাসত। আর আমি যা করি তা অতি মনোযোগ দিয়ে করি ও তার সেরাটা দিতে চাই।’ যারা বিসিএস দিবেন তাদের উদ্দেশ্যে ঊমির্ বলেন, প্রথমেই সংকল্পবদ্ধ হতে হবে যে, আমাকে বিসিএস ক্যাডার হতেই হবে। সে অনুযায়ী নিয়মিত রুটিন মাফিক কৌশল অবলম্বন করে বিসিএসের সিলেবাস দেখে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পড়তে হবে। বিসিএসের যে কোনো একসেট বই ও রেফারেন্স বই পড়তে পারেন। বাংলা ও ইংরেজির যে কোনো ২টি পত্রিকা নিয়মিত পড়তে হবে আর দেশ-বিদেশের খেঁাজ-খবর রাখতে হবে। প্রচুর অনুশীলন করতে হবে আর বেশি বেশি লেখার চচার্ করতে হবে যা লিখিত পরীক্ষায় কাযর্কর হবে। আর ভাইভার জন্য সাহস ও কনফিডেন্স রেখে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারলেই বিসিএস নিশ্চিত হবে বলে আশা করেন ঊমির্। ঊমির্ স্বপ্ন দেখেন একদিন পুলিশের সবোর্চ্চ পদ আইজিপি হবেন এবং দেশ ও জনগণকে ভালো কিছু উপহার দেবেন।