প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শাটর্

জিন্সের সঙ্গে ‘লেয়াডর্ লুক’ কিংবা ‘মিক্স অ্যান্ড ডিফারেন্ট’ রঙের মিলান্তি। ভাবছেন, এ আবার কিসের মিক্সড অ্যান্ড ডিফারেন্ট? বলছি প্রিন্টেড ক্যাজুয়ালের ট্রেন্ডি শাটের্র কথা। ডিজাইনার থেকে বিক্রেতা সবাই বলছেন তরুণ প্রজন্মের এই ফ্যাশনেবল ওয়্যারের কথা। কলেজ থেকে অফিস, শপিংমল থেকে সিনেমা হল সবখানেই এখন প্রিন্টেড ক্যাজুয়ালের ছেঁায়া। ক্যাজুয়াল আর ডেনিম তো সারা বছরই পরা হয়। এখনকার উঠতি বয়সী ছেলেদের পাশাপাশি মধ্যবয়সীরাও বাদ যান না এই ফ্যাশন থেকে। ক্যাজুয়াল শাটের্র বাজারে হরহামেশাই আসে নতুনত্ব। এই যেমন বতর্মান সময়টাই প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শাটের্র দখলে। আসল কথা হলো স্টাইলের ছকটি মাথায় রেখে পোশাক নিবার্চন করতে পারলেই যে কেউ হয়ে উঠবে ‘লেয়াডর্ লুক’ অথার্ৎ আকষর্ণীয়। এমনটাই মেনেছেন ফ্যাশন বোদ্ধারা। বাজার ঘুরে দেখা গেল, স্ক্রিনপ্রিন্ট, চেক, স্ট্রাইপড, পলকা ডট, ফুলেল মোটিফের ফ্যাশনেবল শাটর্। বিভিন্ন প্রিন্টেড নকশা আর ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। কলার ও হাতার কাফেও আছে ভিন্নতা। প্রিন্টেড শাটের্ থাকছে একরঙা হাতার কাফ। কখনো আবার শাটের্র প্রিন্ট নকশা থেকে একটি রং নিয়ে বসানো হয়েছে বোতাম প্লেটে ও পকেটে। এ ছাড়া একাধিক প্রিন্টের ফিউশন নকশার দেখাও মিলছে শাটের্। কখনো আবার ফুলেল নকশার সঙ্গে জ্যামিতিক নকশার সমন্বয়। তবে এসব শাটের্র বোতামের ব্যবহারেও ভিন্নতা চান অনেকেই। তারা কাঠের বোতাম আর প্লাস্টিকের রঙিন বোতাম বেশি পছন্দ করছেন। গরমের কারণে সবার পছন্দের শীষের্ হালকা রঙের প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল। আর এসব প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শাটের্র কলারের ব্যবহারেও রয়েছে ভিন্নতা। আগেকার বড় কলারের শাটর্ হয়েছে এখন ছোট কলার। প্রিন্টেড বিভিন্ন রংচঙা শাটের্র বিক্রিও বেশি। তবে চেক এবং স্ট্রাইপ শাটের্র কদর এখনো আগের মতোই আছে। তবে স্ট্রাইপ শাটর্ কিনলে নজর দিতে হবে সেলাইয়ের ওপর। কারণ স্ট্রাইপের সেলাইতে স্ট্রাইপ না মিললে সেটা দেখতে একেবারেই বেমানান লাগে। তাই স্ট্রাইপ মেলানো শাটর্ কেনা উচিত।