সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
টানটান ত্বক রঙ বেরঙ ডেস্ক একটা সময়ের পর সবারই কমবেশি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। কিন্তু নানা কারণে অনেকের ২৫ বছর বয়সের পর পরই বলিরেখা দেখা যায়। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। নিয়মিত যতেœর মাধ্যমে এগুলো দূর করা সম্ভব। সাধারণত অতিরিক্ত মানসিক চাপ, সূযের্র অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে সরাসরি প্রবেশ, অতিরিক্ত রাগ ও ঘুমের সমস্যা হলে মধ্য বয়সের আগেই বলিরেখা ও ভঁাজ পড়ে থাকে। এজন্য প্রতিদিনের অভ্যাস, এমনকি খাদ্যাভ্যাসেও পরিবতর্ন আনতে হবে। সমস্যাকে মোকাবেলা করা শিখতে হবে। সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে। তাহলে মন ভালো থাকবে। ত্বকেও তার প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেতে হবে। শাক-সবজি, ফলমূল, বিশেষ করে গাজর, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো ও ভিটামিন ‘সি’যুক্ত সব খাবার খেতে হবে। তাহলে ত্বক প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। এ ছাড়া নানা কারণে দ্রæত রেগে যাই আমরা। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করলে ত্বকে ভঁাজ পড়বে না। আপনিও বয়সের ছাপ পড়া থেকে মুক্তি পেলেন। নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসন মানুষের মন এবং শরীরকে তরুণ রাখে। ঘরে বসে সঠিক পদ্ধতিতে বজ্রাসন, ধনু আসন করতে পারেন। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হবে। ব্রণের সমস্যা রঙ বেরঙ ডেস্ক আমাদের মুখের ত্বকে স্বাভাবিকভাবেই তেলের উপস্থিতি থাকে। ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে বাইরের রোদ, ধুলাবালি, ময়লা পানি ইত্যাদি মুখে লাগালে এবং নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক। হঠাৎ ব্রণ হলে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কেন ব্রণ হলো। মেয়েদের ঋতুস্রাব চলাকালেও ব্রণ হতে দেখা যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, অ্যালাজির্ আছে এমন খাবার খেলে ব্রণ হতে দেখা যায়। এসব বিষয়ে সতকর্ থাকলে ব্রণের সমস্যা চলে যাবে। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, হঠাৎ ওঠা ব্রণ হঠাৎই চলে যায়। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তবে সতকর্ হতে হবে। নিয়মিত ক্লেনজার ও টোনার দিয়ে ঘুমানোর আগে ও পরে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। তা ছাড়া বরফও ঘষতে পারেন মুখে। বরফ দিলে ব্রণ কমে। কোনো নিমন্ত্রণ বা খুব তাড়া থাকলে লবঙ্গ পেস্ট করে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। দু-এক দিনের মধ্যেই ব্রণ চলে যাবে। হঠাৎ ওঠা ব্রণের প্রতিকার করতে অনেকেই নখ বা সূ² কিছু দিয়ে ব্রণের শাল বের করে দেন। এ অভ্যাসটাকে তুলনা করা যায় নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারার সঙ্গে। এমনটি করলে হাতের ময়লা ব্রণে লেগে জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ে এবং ত্বকে দাগ পড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব ব্রণে হাত বা অন্য কিছুর স্পশর্ দেয়া থেকে বিরত থাকুন। শিশুর কোমল ত্বকে রঙ বেরঙ ডেস্ক আবহাওয়া হয়ে উঠছে শুষ্ক। বাতাস হারাচ্ছে আদ্রর্তা। এ সময় বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখতে আর হারানো আদ্রর্তা ফিরে পেতে প্রয়োজন বাড়তি যতœ। আবার শিশুর ত্বকের যতেœর বিষয়ে প্রচলিত আছে নানা মত। এই সময় শিশুর ত্বকের যতœ এবং বছরের অন্য সময় শিশুদের ত্বকে প্রসাধনসামগ্রী প্রয়োগ বড়দের প্রসাধনী শিশুদের ত্বকে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হতে পারে। তাই সব সময় শিশুদের উপযোগী প্রসাধনসামগ্রী শিশুর ত্বকে লাগানো উচিত। শুষ্ক আবহাওয়ায় শিশুর ত্বকে লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শিশুর ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। তবে শিশুদের ত্বকের উপযোগী ভালো ব্রান্ডের লোশন লাগানো উচিত শিশুর ত্বকে। কেউ কেউ শিশুর পুরো শরীরেই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে চান। তবে শিশুর পুরো শরীরে এভাবে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগানো উচিত নয়। শিশুর ঠেঁাটে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে মনে করেন শিশুদের ত্বকে বুঝি তেল লাগাতেই হবে। সৈয়দা আফরোজা জানালেন, শিশুর ত্বকে তেল লাগানোর ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। গোসল করানোর আগে শিশুর ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এ ছাড়া অন্য সময় শিশুর ত্বকে তেল না লাগালেও চলবে। কেউ কেউ আবার শিশুর ঠাÐা লেগে গেলে তার বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে থাকেন। এটি ঠিক নয়। ফলে ঘাম বসে গিয়ে শিশুর সমস্যা বাড়তে পারে। আবহাওয়া ঠাÐা না হলে শিশুর ত্বকে পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব বেশি পরিমাণ পাউডার একবারে লাগিয়ে দেয়া ঠিক নয়। পাউডারের পুরু স্তর শিশুর জন্য অস্বস্তিকর। শিশুর কোমল ত্বকে প্রতিদিন সাবান দেয়ার প্রয়োজন নেই। নিয়মিত গোসল করালেই শিশুর ত্বক পরিষ্কার থাকবে। আর সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেছে নিন শিশুর ত্বকের উপযোগী সাবান। বড়রা যে সাবান ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো শিশুর ত্বকের জন্য মানানসই নয়। শিশুর কোমল ত্বকে তাই বড়দের সাবান না লাগানোই ভালো। ঘরের বাইরে খেলাধুলা শেষে শিশু ঘরে ফেরা মাত্রই তার হাত-পায়ের ত্বক পরিষ্কার করে দিন। ময়লা হাতে খাবার খেলে শিশু পেটের পীড়ায় ভুগতে পারে। আর এভাবে বাইরে থেকে এসে হাত-পা ধোয়ার অভ্যাসটাও শিশু রপ্ত করে নেবে।