পুজোর প্রস্তুতি

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

শুভ্রা সাহা
শারদীয় উৎসবের জঁাকজমকপূণর্ বণির্ল আয়োজন থাকে সবার জন্য। উৎসব তো থাকেই, সঙ্গে থাকে পূজার নানা আচার। একই সঙ্গে চলতে থাকে প্রতিমা তৈরির কাজ। শারদীয় এ উৎসব বণির্ল করার জন্য যা যা উপকরণ দরকার, তার সবই পাওয়া যায় পুরান ঢাকার শঁাখারি বাজারে। ঢাকা জজ কোটের্র পাশে যে রাস্তা, সেটাই শঁাখারিবাজার। রাস্তার মুখে প্রধান ফটকটি দঁাড়িয়ে গেছে। শঁাখারিবাজারের রাস্তায় রিকশা চলছে, মানুষের হঁাটাচলাও চলছেÑ এরই মধ্যে ভ্যানে করে আসছে বঁাশ ও কাঠÑ ডেকোরেটরের নানা জিনিস। এ রাস্তাজুড়ে থাকবে অনেক মÐপ। শোলার মুকুট দুই পাশের দোকানগুলোয় চলছে পূজার নানা অনুষঙ্গের কেনাকাটা। শংকর সরকার মা বাসন্তী ভাÐারের স্বত্বাধিকারী। তিনি নিজে একজন শোলাশিল্পী। বাবার কাছে শিখে বানিয়ে চলেছেন দেবীর মাথার মুকুট। ‘আমার দোকানে কোনো বিদেশি জিনিস ঢোকে না। নিজেরাই শোলা, ঝিনুক ও চুমকি দিয়ে মুকুট তৈরি করি।’ তার তৈরি করা এক সেট সাদা মুকুটের দাম ২০ হাজার টাকা এবং সোনালি রঙের দাম ১৪ হাজার টাকা। প্রতিমা সাজানোর অনুষঙ্গ এমন অনেক দোকানে প্রতিমা সাজানোর নানা অনুষঙ্গ পাওয়া যাচ্ছে। আছে দেবীকে পরানোর কাপড়ও। সাজঘরের পিন্টু সাহা জানালেন, বেনারসি থেকে শুরু করে টিস্যু, সাটিন কাপড়ের শাড়ি বিক্রি হয় গজ হিসেবে। বেশির ভাগ কাপড় আসে ভারত ও চীন থেকে। তৈজসপত্র কঁাসা, পিতল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র লাগে পূজার সময়। প্রদীপগাছা, পঞ্চপ্রদীপ, ঘণ্টা, কঁাসি, কলস, আগরদানি, থালা, কুলা, পানপাতা, কলাপাতা, ক‚পমÐুল, গøাস ইত্যাদি আছে কঁাসা বা পিতলের তৈরি। এসব আসে ধামরাই থেকে। পলা-শাখা শঁাখারিবাজারে এলে শঁাখা-পলার কথা তো বলতেই হয়। পূজা উপলক্ষে এসবের বিক্রি-বাট্টাও এখন বেশ। সোনা-রূপার গহনা সঙ্গে সোনা-রুপার গহনার বিক্রিও চলছে। কয়েকটা শাড়ির দোকানেও দেখা গেল পূজার কেনাকাটার ভিড়। পূজার ফুল সাজিয়ে শঁাখারিবাজারে বসে বেশ কটি অস্থায়ী দোকান। জানা গেল, দুগার্পূজার সময় এমন দোকানের সংখ্যা আরও বাড়বে। আলোকসজ্জা সাউন্ড সিস্টেম, মাইকের কদর আছে পূজার আয়োজনে। আছে আলোকসজ্জার ব্যাপারও। তাই পুরান ঢাকার বৈদ্যুতিক বাতির দোকানগুলোয় এখন চলছে সবকিছু তৈরি করে রাখার প্রস্তুতি। অনেক মÐপেই শুরু হয়ে গেছে প্রতিমা তৈরির কাজ। খড়-বঁাশ দিয়ে কাঠামো তৈরি করে মাটি বসানো হচ্ছে, অনেকে আবার আরেকটু এগিয়ে গিয়ে রঙের কাজও ধরে ফেলেছেন। প্রস্তুতি শেষ পযাের্য়, এখন শারদীয় এ উৎসবে যোগ দেয়ার অপেক্ষা।