শীতের আগমনী বাতার্য় করণীয়

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

রঙ বেরঙ ডেস্ক
ত্বকে টান টান ভাব। একটু পরপর ঠেঁাট শুষ্ক হচ্ছে। পায়ের গোড়ালি ফাটতে শুরু করেছে। ত্বকের এসব লক্ষণ জানান দিচ্ছে শীত আসছে। বছরের এ সময়টাতে ত্বকের বিশেষ যতœ নিতে হয়। তা না হলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। মলিনতার ছাপ পড়ে। শীতকালে ত্বকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ময়েশ্চারাইজার। ত্বক তৈলাক্ত, শুষ্ক ও সংবেদনশীল যা-ই হোক না কেন, অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকে : অনেকে মনে করেন, শীতে তৈলাক্ত ত্বকে সুবিধা বেশি। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও চলবে। এ ধারণা ভুল। শীতে তৈলাক্ত ত্বকের টি-জোনে বø্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেড়ে যায়। এ কারণে প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। সকালে তেলমুক্ত ফোমিং বা জেল ক্লিনজার দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাইরে বের হওয়ার আগে সব ধরনের ত্বকেই সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে হবে। তবে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে তেলমুক্ত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে হবে। আর রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত রাতের ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন এ প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া কাদামাটির প্যাকও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব উপকারী। শুষ্ক ত্বকে : শুষ্ক ত্বকের শুষ্কতা আরও বেড়ে যায় শীতে। এ কারণে রুক্ষ হয়ে পড়ে ত্বক। সেজন্য শীতে অবশ্যই ক্রিম ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। আর সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্ক্রাবিং না করলে মরা কোষ জমে যাবে। এ ধরনের ত্বকের জন্য ভারী ময়েশ্চারাইজার বেশি উপযোগী। গরমের দিনের মতো বারবার মুখ না ধোয়াই ভালো। কিন্তু দিনে অন্তত দুবার ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। চাইলে গিøসারিনযুক্ত সাবান বা বার ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ত্বকে পাকা কলা ও মধুর মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহার না করে ফেসিয়াল ওয়াইপস ব্যবহার করা যেতে পারে। হালকা ধরনের ময়েশ্চারাইজার এ ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত। ওটমিলের সঙ্গে টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।