হাওয়ায় হাওয়ায় শীতের আগমনী বাতার্

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

নাজনীন রহমান
সকালে হালকা ঠাÐা আর দুপুরে কড়া-মিঠে রোদ। দুইয়ের মধ্যে পড়ে ঠেঁাট ও ত্বকের অবস্থা যাচ্ছেতাই! রোদ বাড়ার সময় বাইরে বেরোলে মুখে খসখসে ভাব দেখা দেয়। ঠেঁাট শুকিয়ে সাদা দেখায়। ছেলেদের এই সমস্যা আরও বেশি। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতের আগের এই সময়টা অল্প করে হলেও ত্বক ও ঠেঁাটের যতœ নেয়া উচিত। কম সময়ে অল্প একটু যতেœই ভালো রাখা যায় ত্বক ও ঠেঁাট। বাজারের নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার ছাড়াও হাতের কাছের জিনিস দিয়েই নিজেকে ভালো রাখা সম্ভব। ত্বকের যতেœ এক চা-চামচ জলপাই তেলের সঙ্গে একটা দেশি মুরগির ডিমের কুসুম ভালো করে ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের বাইরের আবরণকে সতেজ রাখবে। এটি ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলোর জোগান দেবে। মিশ্রণটি ব্যবহারে আরও ভালো ফল পেতে চাইলে কয়েক ফেঁাটা লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই প্যাক বেশি উপযুক্ত। একটি পাকা কলা আর এক কাপ দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার প্যাকটি মুখে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের আদ্রর্তা বজায় থাকবে। একটি লেবুর অধের্ক অংশের রসের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। নিয়মিত এটি মুখে মাখিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে দূর হবে মুখের খসখসে ভাব। ত্বকের কোষগুলোর বৃদ্ধিও স্বাভাবিক থাকবে এর ফলে। ঠেঁাটের যতেœ শীতে আপনার ঠেঁাট ভালো রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ও গিøসারিনের ব্যবহার শুরু করতে পারেন এখনই। এই সময়ের বাতাসে ঠেঁাট শুকিয়ে আসে। অনেকে থুথু দিয়ে ঠেঁাট ভেজান। এতে ঠেঁাট আরও বেশি শুকিয়ে চামড়া উঠতে থাকে। এসব থেকে বঁাচতে চাইলে পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে সমপরিমাণ গিøসারিন মিশিয়ে ঠেঁাটে লাগাতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। শেভ করার পর নিয়মিত শেভ করার কারণে ছেলেদের ত্বকের আদ্রর্তা কমে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। শীতের সময়ে সেটা আরও বেশি প্রকট হয়। তাই যারা নিয়মিত শেভ করেন, তাদের শেভের সময়ে জেল ব্যবহার করা ভালো।