হাতঘড়ির ফ্যাশন

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

করিম বিশ্বাস
ক্যাজুয়াল লুকের ক্ষেত্রে বড় ডায়ালের ঘড়িই বেশি জনপ্রিয় মডেল : অহনা
ফ্যাশন আর প্রয়োজন দুই মিলিয়ে মানানসই হাতঘড়ির দিকেই আগ্রহ তরুণদের। মোটা চেইন আর বড় ডায়াল, এমন ঘড়িই তরুণদের পছন্দ, তবে টিনএজাররা স্পোটর্স ঘড়ি পরতেই বেশি পছন্দ করে। কম-বেশি সবাই হাতঘড়ি পরতে পছন্দ করেন। অনেকে চেইনওয়ালা আর কিছুটা বড় ডায়ালের ঘড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর সেটা অবশ্যই নামি ব্র্যান্ডের হবে। ঘড়ি দিয়ে শুধু যে প্রয়োজন মেটে তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে এটির দ্বারা ব্যক্তিত্ব ও রুচি বোধেরও প্রকাশ পায়। ক্যাজুয়াল লুকের ক্ষেত্রে চেইন আর বড় ডায়ালের ঘড়িই বেশি জনপ্রিয়। আর ফরমাল লুকের ক্ষেত্রে ছোট ডায়ালের চামড়া বা চেইনওয়ালা ঘড়িই বেশি মানিয়ে যায় বলে অভিমত ঘড়ি বিক্রেতাদের। তবে যেমন ঘড়িই হাতে দেয়া হোক না কেন, তা নিজের ব্যক্তিত্ব বা পরিবেশের সঙ্গে কতটা মানানসই, তা বিবেচনা করতে হবে সবার আগে। হরেক ব্র্যান্ড আর দরদাম : ঘড়ির বাজারে বতর্মানে অনেক ধরনের ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যায়। ঘড়ির দাম নিভর্র করে এটি কোন ব্র্যান্ডের ঘড়ি তার ওপর। টাইটান ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যাবে ২ হাজার ৮৭৫ টাকা থেকে ১৮ হাজার ২০০ টাকায়, ফাস্ট ট্রাক ৪ হাজার ৬২০ থেকে ৮ হাজার ২২০ টাকায়, ওমেগা ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম শুরু হয়েছে এক লাখ থেকে, ওরিয়েন্ট ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫০ হাজার, রোমার সাড়ে ১২ হাজার থেকে ৬০ হাজার, টিসোটর্ ২৫ হাজার থেকে লাখ, র‌্যাডো ৪০ হাজার থেকে ২ লাখ, প্যারিলাইনার ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার, ট্যাগহিয়ার ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ, রোমানসন ৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার, ওয়েস্টার ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার, সিটিজেন ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নন-ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ব্র্যান্ডের ঘড়িগুলোতে সাধারণত এক থেকে দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা থাকে। কেনার আগে এটি ভালোভাবে জেনে নিন। যেখানে মিলবে : রাজধানীর নিউমাকের্ট, বসুন্ধরা সিটি, বায়তুল মোকাররম, পাটুয়াটুলীসহ বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে হাতঘড়ির দোকান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গিফট শপে পাওয়া যাবে ফ্যাশনেবল ঘড়ি। লক্ষ্য রাখুন : অনেকক্ষণ সময় ধরে ঘড়ি পরে না থাকাই ভালো। এতে হাতের কিছু অংশ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ঘড়ি পরলে অনেকের চামড়ায় অ্যালাজির্ বা র‌্যাশ হয়। এটি রোধে চিকিৎসকের পরামশর্ নিন। পোশাকের সঙ্গে ঘড়ি মানানসই কিনা, তা দেখে নিন। বিক্রয়োত্তর সেবার কাডির্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ করুন।