শীতের আগমন

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

তানিয়া তনু
শরতের শেষেই এবার শীতের আগমনী বাতার্ চলে এসেছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যতœ। এতে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। শীতের রাত দীঘর্ সময়ের, তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ বা কোমল সাবান দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর যাদের ত্বক কিছুটা শুষ্ক, তারা তৈলাক্ত ক্রিম লাগাতে পারেন। আর যাদের ত্বক এমনিতেই তৈলাক্ত তারা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম দিতে পারেন। সংবেদনশীল ত্বক যাদের, অথার্ৎ ত্বকে ক্রিম দিলে র‌্যাশ ওঠার মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য শিশুদের উপযোগী ক্রিম ব্যবহারের পরামশর্ দেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে ভালো ব্রান্ড দেখে ব্যবহার করতে হবে। শীতের শুরুতেই শুষ্কতার আবেশ টের পায় নাজুক ঠেঁাট। ঠেঁাট ফাটা বা চামড়া ওঠার সমস্যা তো আছেই। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠেঁাটে ভ্যাসলিন বা চ্যাপস্টিক দিতে পারেন। তবে যাদের ঠেঁাটের ত্বকে অ্যালাজির্র সমস্যা আছে, তারা ঠেঁাটের ত্বকের ধরন বুঝে লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাত, পা শাওয়ার জেল কিংবা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। পায়ের গোড়ালির মৃত কোষ তুলতে কিছুক্ষণ পা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঝামা দিয়ে ঘষতে হবে। কেননা, সারা দিনের চাপ তো পায়ের ওপর বেশি পড়ে। হাত-পা পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে। যাদের পা ফাটা সমস্যা আছে, তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু পুরু করে পায়ে ভ্যাসলিন লাগিয়ে সুতির মোজা পরতে পারেন। এতে পা নরম থাকে এবং পা ফাটা প্রতিরোধে বেশ কাজ দেয়। অনেকের আঙুলের ওপরের অংশ ফাটে, এ ক্ষেত্রে আঙুলের কোনার জায়গা পরিষ্কার করে ভ্যাসলিন লাগাতে হবে। সম্ভব হলে সারা শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে নিতে পারেন। আর যাদের হাত ঘামে তারা হাতে লোশন লাগিয়ে হালকা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। তাতে হাত কম ঘামবে এবং লোশনের নরম ভাবটা ত্বকে থেকেই যাবে। শীতের সময় সিনথেটিকজাতীয় কাপড় পরে ঘুমালে শরীর গরম হয় না, তাই মোটা সুতির কাপড় পরে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। সুতির ফুল হাতার গাউন বা ম্যাক্সি পরলে হাত-পায়ের ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।