চুল নিয়ে নেই চিন্তা

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ছবি : ইন্টারনেট
সাবিনা জাহান এমনিতে হয়তো চুল তেমন পড়ে না। কিন্তু তেল, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় চুল উঠছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায়ও আছে। প্রতিদিন ৫০টি চুল পড়া স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এর থেকে বেশি চুল পড়লে দেখা যায় এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। মানসিক চাপ, জ্বর বা কঠিন কোনো ডায়েট করলে সাধারণত চুল পড়ে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার তেমন কিছু নেই। এ চুল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আবার গজাবে। তবে হরমোনের সমস্যার কারণে চুল পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া চুল পড়া প্রতিরোধ করতে হলে ভালোমানের শ্যাম্পু বা তেল ব্যবহার করতে হবে। আর বেশি শক্ত করে চুল বঁাধা ঠিক নয়। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ে। ভিটামিনযুক্ত খাবার ও চিকিৎসকের পরামশর্ অনুযায়ী ভিটামিন ক্যাপসুল খেতে হবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে চুল পড়া কমে যাবে। রূপবিশেষজ্ঞ নাইমা ইসলাম বলেন, ‘চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও তেল ব্যবহার করা উচিত। আমাদের নানা অজ্ঞতার কারণে স্বাভাবিকের থেকে বেশি হারে চুল পড়ে। দেখা যায়, যার মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তিনি হয়তো শুষ্ক ত্বকের শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন। তৈলাক্ত চুলে দেড় মাস অন্তর তেল ব্যবহার করলেও চলবে। কিন্তু শুষ্ক ত্বকের চুলে প্রতি সপ্তাহে তেল ব্যবহার করতে হবে। তেল হালকা গরম করে আলতোভাবে চুলে মালিশ করে লাগাতে হবে। শ্যাম্পুও সঠিক নিয়মে করতে হবে। শ্যাম্পু করার পর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, যেন চুলের গোড়ায় শ্যাম্পু না থাকে। তা না হলে খুশকি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ থেকেও পরবতীর্ সময়ে চুল পড়তে পারে।’ কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে চলতে হবে। চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে না। এতে চুলের গোড়া নরম হবে, এমনকি খুশকির উৎপত্তি হতে পারে। মাথার ত্বক বাদে বাকি অংশে ব্যবহার করতে হবে, বিশেষ করে চুলের ডগায়। তৈলাক্ত ত্বকের চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। চুল ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর বঁাধতে হবে। অনেক সময় আমরা ভেজা চুল নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তখন মাথার এক পাশের চুল শুকায় না। এতে চুল পড়ে। সম্ভব হলে প্রতি মাসে, তা না হলে তিন মাস অন্তর চুলের ডগা ছঁাটুন। এতে চুল পড়া কমে যাবে বলে জানান আফরোজা কামাল। বাইরে বের হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে হবে। আসল কথা, চুলের ত্বক পরিষ্কার রাখলে চুল পড়া কমানো সম্ভব। চুল পড়া কমাতে বাজার থেকে আমলা প্যাক কিনে প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের জন্য উপকারী। হেনা প্যাকও চুলের জন্য ভালো। যারা শুধু প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে চান, তারা হেনা বা মেহেদি ৩০ মিনিটের বেশি চুলে রাখবেন না। আর যাদের পাকা চুল, তারা সবোর্চ্চ এক ঘণ্টা রাখবেন। তা না হলে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়বে। এ ছাড়া পাকা কলা ও টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।