ফ্যাশনে রঙিন চশমা

চশমার ফ্রেম বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে তা আপনার মুখের সঙ্গে মানানসই হচ্ছে কিনা তা পরখ করে নিন। যেহেতু নাকে চেপে বসে এ বস্তুটি, তাই নাকের (আকৃতির) সঙ্গে এর একটি গভীর সম্পকর্ রয়েছে। যাদের নাক খাড়া, তারা আয়তাকার চশমার ফ্রেম বেছে নিতে পারেন। লিখেছেন সোরিয়া রওনক

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রয়োজনের পাশাপাশি ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবেও প্রচলন বেড়েছে রঙিন চশমার ব্যবহার মডেল : নূর ই জান্নাত, ছবি : ক্লিকবাজ
চশমার দুই টুকরো লেন্সের মধ্য দিয়েই যেন আপনার সামনে ঝকঝকে ফকফকে দুনিয়া। তবে এখন কেবল প্রয়োজনেই সীমাবদ্ধ নেই এর ব্যবহার, বরং প্রয়োজনের পাশাপাশি ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবেও এর প্রচলন বেড়েছে। লাল, নীল, বেগুনি, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের বাহারি নকশার চশমাগুলো ফ্যাশনে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। বই, পত্রিকা পড়া, টিভি দেখা, কম্পিউটারে কাজ করা সবকিছুতেই যখন চশমার প্রয়োজন হয়, তখন একে বোঝা মনে না করে নিত্য-উপকারী সঙ্গী হিসেবে ভেবে নেয়াই ভালো। তা ছাড়া একটি সুন্দর ফ্রেমের চশমা আপনাকে আরো বেশি ব্যক্তিত্বপূণর্ ও আকষর্ণীয়ও করে তুলতে পারে। বাজারে এখন হাল ফ্যাশনের বাহারি সব রঙিন চশমা পাওয়া যাচ্ছে। কেউ বা প্রয়োজনে আবার কেউ নিছক ফ্যাশন করতে বেছে নিয়েছেন রঙিন ফ্রেমের চশমা। নিজের চশমাটি বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখুন। চশমার ফ্রেম বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে তা আপনার মুখের সঙ্গে মানানসই হচ্ছে কি না তা পরখ করে নিন। যেহেতু নাকে চেপে বসে এ বস্তুটি, তাই নাকের (আকৃতির) সঙ্গে এর একটি গভীর সম্পকর্ রয়েছে। যাদের নাক খাড়া, তারা আয়তাকার চশমার ফ্রেম বেছে নিতে পারেন। লম্বাটে মুখের অধিকারী যারা, তাদের প্রায় সব ধরনের ফ্রেমেই বেশ মানিয়ে যায়। যাদের নাকটা তেমন খাড়া নয়, তারা হাফ রিমের চওড়া ফ্রেমের চশমা নিবার্চন করতে পারেন। যাদের মুখের আকৃতি গোলাকার, তারা সামান্য ডিম্বাকৃতির ফ্রেমের চশমা বেছে নিন। তাদের ক্ষেত্রে গোলাকার ফ্রেমের চশমাটা পছন্দের তালিকা থেকে বাদ দেয়াই ভালো। রঙিন ফ্রেমের চশমা নিবার্চনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন সে রংটি আপনার ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে কিনা। ছেলেমেয়ে উভয়েই এ বিষয়টি খেয়াল রাখুন। আপনার চোখে যে রংটি ভালো লাগবে, সে রংয়ের চশমাখানি পরে আয়নার সামনে আর একটিবারের জন্য চোখ রাখুন। যদি ভালো লাগে তবে তো হয়েই গেল ঠিকঠাক। আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও চশমার রং ও ফ্রেমের একটি মানানসই অবস্থান থাকা জরুরি। একেবারে হলুদ রংয়ের চশমাটিও দেখবেন কখনো আপনার মাঝে বেশ আকষর্ণীয় ব্যক্তিত্বের ছাপ ফুটিয়ে তুলতে পারে। সুতরাং গুরুত্বপূণর্ হলো, সব কটি রংয়ের চশমাই একবার করে পরে দেখার চেষ্টা করুন। বয়স অনুযায়ীও চশমার রং, ফ্রেমের ডিজাইন বদলে যেতে পারে। তরুণ বয়সীদের ক্ষেত্রে যে কোনো রং পরতেই বাধা নেই। রঙিন চশমার মাঝে থেকে বিভিন্ন কারুকাজের ছাপসহ চশমাও বেছে নিতে পারেন। ছেলেদের চশমার ক্ষেত্রে চোখের নিচের দিকে বাড়ানো চশমার ফ্রেমটা ভালো মানিয়ে যায়। যাদের বয়স একটু বেশি, তাদের যে সোনালি, রুপালি আর কালোতেই পড়ে থাকতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং বাদামি, কপার, হালকা কফির সঙ্গে কালো রঙের মিশেলের চশমা বেছে নিতে পারেন। পোশাকের সঙ্গেও চশমার সামঞ্জস্যতার একটি বিষয় রয়েছে। পাশ্চাত্য ঢঙের পোশাকের সঙ্গে একটু ভারী ফ্রেমের চশমায় আপনাকে বেশি ভালো লাগবে। সাধারণত যারা সবসময় শাড়ি পরেন তাদের ক্ষেত্রে রঙিন ফ্রেমের রিমলেস বা হাফ রিমলেস চশমায় ভালো লাগে। ছেলেদের করপোরেট পোশাকের সঙ্গে করপোরেট লুক জুড়ে দিতে রিমলেস চশমার জুড়ি নেই। বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চশমা পাওয়া যায়। ঢাকার নিউমাকের্ট, পিংক সিটি, বসুন্ধরা শপিং মল, এলিফ্যান্ট রোড, মেট্রো শপিং মলসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের ও প্রয়োজনের চশমাখানি। একটু ভালো ব্র্যান্ডের চশমা যেমন রেব্যান, পুলিশ, মিলোটি, গুচি, কাটির্য়ার পাবেন ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায়। তবে সাধারণত এসব ব্র্যান্ডের আদলে তৈরি চশমাগুলোই চলছে বেশি। এর মধ্যেও আবার রয়েছে মানের ভালো-মন্দ দিক। একটু ভালোমানের ফ্রেমে গেলে আপনার খরচ হবে ১৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা। সাধারণ চশমাগুলো পাবেন ৩০০-১৫০০ টাকায়। বতর্মানে শেল বা প্লাস্টিকের তৈরি ফ্রেম বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনি বেছে নিতে পারেন সেগুলোও। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা। চশমার ফ্রেমের সঙ্গে লেন্সের সম্পকর্ রয়েছে। লেন্স ঠিক করে দেবেন চক্ষু চিকিৎসক। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী লেন্স নিতে হবে। আর চশমা তৈরির পর সঠিক লেন্স নেয়া হলো কিনা তা চিকিৎসককে দেখিয়ে নিতে হবে।