নতুন বছরে নতুন গৃহকোণ

আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই এসে যাচ্ছে নতুন বছর। নতুন বছরে সবাই চায় সবকিছু একটু ঢেলে সাজাতে। বিশেষ করে প্রিয় গৃহকোণটিকে একটু অদলবদল করে, সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে নিজের রুচিশীলতার সবোর্চ্চ প্রকাশ করতে চান অনেকেই। তা ছাড়া ইদানীং শীতের এই সময়টাতে বিয়েবাড়িরও ধুম পড়ে গেছে। নতুন দম্পতির নতুন সংসারেরও চাই নতুন ঘরসজ্জা। তাই ২০১৯-এর শুভাগমন উপলক্ষে ঘর সাজানোর চমৎকার সব টিপস নিয়ে লিখেছেনÑ সোরিয়া রওনক

প্রকাশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঘরের সাজে পদার্ পুরনো ঘরখানাকে নিমেষে বদলে ফেলার প্রথম উপায় হলো ঘরের পদার্ বদলে ফেলা। একটি নতুন মাত্রা যোগ তো করেই, তা ছাড়া এর বদলে পুরো বাড়ির লুকই যেন চেঞ্জ হয়ে যায়। বাজারে সাধারণত বিভিন্ন সাইজের ও রঙের কাপড়ের পদার্ পাওয়া যায়। সুতি, চায়নিজ, সেরেয়ারস, বঁাশ বা বেত, নেট, মাদুর বা ভাটির্কাল বাইন্ড ইত্যাদি। পদার্র কাপড় কেনার সময় অবশ্যই দরজা-জানালার আকার-আকৃতি মেপে নেবেন। তা না হলে ছোট-বড় হলে ব্যাপারটা ভালো দেখায় না। গুলশান, নিউমাকের্ট, বসুন্ধরা সিটি, মৌচাক, এলিফ্যান্ট রোড সব জায়গায়ই পদার্ পাওয়া যায়। ভালো হয় যদি ঘরের দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিল রেখে পদার্ কেনা যায়। ঘরকে উজ্জ্বল করতে চাইলে সাদা, নীল, আকাশি রঙের বিকল্প নেই। আর যদি চান ঘরের ভেতরটা থাকবে একটু আবছা তাহলে লাল, বেগুনি, খয়েরি যে কোনো গাঢ় রং ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘরের পদার্য় হিজিবিজি ডিজাইন না থাকাই ভালো। হালকা কাজের মধ্যেই পদার্গুলো হয়ে ওঠে অসাধারণ। আর নতুন বছরে পদার্ পরিবতর্ন করতে চাইলে অবশ্যই ঋতুর প্রতিও খেয়াল রাখুন। যেন সব ঋতুতেই এটি মানিয়ে যায়। নান্দনিক আসবাব আজকাল বিভিন্ন শেপ ও অ্যাঙ্গেলের বৈচিত্র্যময় সব আসবাব পাওয়া যাচ্ছে ফানির্চার হাউসগুলোয়। এ সময় নতুন বছর উপলক্ষে ছাড় যেমন মিলছে তেমনি নতুন সব আকষর্ণীয় ডিজাইন দিয়ে ঘর সাজানোর উৎসবে মেতে উঠতে পারেন আপনিও। তবে নতুন আসবাব কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ঘরের স্পেসের দিকেও। যেন বাহারি ডিজাইনের আসবাব দিয়ে ঘর সাজাতে গিয়ে রুমটা সংকীণর্ না হয়ে যায়। আসবাবগুলোর স্থান পরিবতর্ন করে একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখলেও কিন্তু ঘরের চেহারা অনেকটাই পাল্টে দেয়া সম্ভব। নিউ ইয়ার উপলক্ষে নতুন আসবাব হয়তো সবাই কিনবেন না, তবে অনুজ্জ্বল হয়ে যাওয়া আসবাবগুলো বানির্শ বা পলিশ করিয়ে নিতে পারেন। বাহারি শো-পিস এক সময় মানুষের ভাবনা ছিল শো-পিস শুধু শোকেজেই মানায়। তাই তারা শখের ছোট ছোট শো-পিসগুলো সাজিয়ে রাখেন শুধু শোকেজেই। কিন্তু এখন সেই ভাবনায় পরিবতর্ন এসেছে। পরিবতর্ন এসেছে মানুষের রুচিরও। এজন্য শুধু শোকেজ নয়, এখন তা ঘরের সব জায়গাতেই সাজিয়ে রাখা যায়। আপনার বাসায় কেউ এলে প্রথম যে জায়গাটিতে বসবেন তা হচ্ছে ড্রয়িং রুম। আর তাই এই রুমটিকে সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন মাঝারি কিংবা একটু বড় ধরনের শো-পিস। সেখানে সোফা কিংবা অন্যান্য ফানির্চার যদি কাঠের হয়, তবে কাঠের শো-পিসই সেখানে মানাবে ভালো। আর যদি ফানির্চারগুলো বেতের হয় তবে সেখানে বঁাশ অথবা বেতের যে কোনো ধরনের শো-পিস রাখা যেতে পারে। তবে এখানে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে ঘরের আকার কেমন। যদি ঘরটি বড় হয় সেখানে একটু বড় ধরনের শো-পিস আর যদি ছোট হয় তবে একটু ছোট শো-পিস রাখলে মানাবে ভালো। কিছু সাধারণ, কিছু মডানর্, ভিক্টোরিয়ান কারুকাজ বেশি অথবা রোমান্স স্টাইলের শো-পিস ড্রয়িং রুমে রাখা যেতে পারে মূতির্, কাঠের পাটাতন বিশিষ্ট শো-পিস, বঁাশ অথবা বেতের শো-পিসগুলো এখানে রাখলে মন্দ লাগবে না। ডাইনিং রুমে খুব বেশি শো-পিস না রাখাটাই ভালো। তবে বেসিনের পাশে ফুল কিংবা সাবান রাখার কেসটাও হতে পারে কোনো শো-পিস। সাধারণত বেড রুমগুলোতে থাকে কাঠের, স্টিল অথবা বেতের তৈরি খাট। আবার কেউ কেউ পছন্দ করেন ফ্লোরিং করতে। এজন্য যেখানে যে ধরনের ফানির্চার ব্যবহার করা হয় সেখানে সেই ধরনের শো-পিস রাখাটাই ভালো। ড্রেসিং টেবিলে থাকতে পারে জুয়েলারি বক্স, লিপস্টিক হোল্ডার অথবা চিরুনি রাখার বক্স। বাচ্চাদের রুমে শো-পিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত তা হচ্ছে বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে। ছেলে হলে স্পাইডার ম্যান, আবার মেয়ে হলে বাবিির্কউ জাতীয় কাটুের্নর শো-পিস দেয়া যেতে পারে। বাচ্চাদের শো-পিসের ক্ষেত্রে লেদার এবং কাঠের তৈরি শো-পিসই ভালো মানায়। কারণ এগুলো সহজে ভেঙে বা ছিঁড়ে যাবে না। আপনি ঘর যেভাবেই সাজান না কেন, সব সময় খেয়াল রাখবেন যেন তা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। পযার্প্ত আলো-হাওয়া যেন যাতায়াত করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। তা ছাড়া এখন শীতের সময়। মেঝেতে ভারী কাপের্ট বা শতরঞ্জি বিছালে একদিকে ঠাÐার হাত থেকে যেমন রেহাই পাওয়া যাবে তেমনি দেখতেও ভালো লাগবে। তাই সবকিছুর আগে চাই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে পার করুন নতুন বছর। স্বাগতম ২০১৯।