বøাউজের বৈচিত্র্য

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

রেশমি হক
শাড়িতে নারীর সৌন্দযর্ বেড়ে যায়। এখনো তাই শাড়ির আবেদন সামাজিক উৎসবে, বিভিন্ন পাবের্ণ। রং বাহারি শাড়ির সঙ্গে বøাউজে নিত্যনতুন ডিজাইন সেই সৌন্দযের্ক আরও বাড়িয়ে তোলে। শাড়ির ডিজাইন যাই হোক না কেন বøাউজের রংটা হবে কন্ট্রাস্ট। একটু বৈচিত্র্য আনতে বøাউজে ছোট ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারেন। দাওয়াতে বা রাতের অনুষ্ঠানে একটু জমকালো বøাউজ বেছে নিতে পারেন। এ জন্য গলাবন্ধ বøাউজের গলাজুড়ে পাথর, চুমকি বা পুঁতির কাজ করাতে পারেন। মোটকথা বøাউজ হবে উৎসব ও পরিবেশের উপযোগী। শাড়িটা এক রঙের হলে বøাউজটা যেন বেশ বাহারি হয়। এই যেমন, হালকা হলুদ জমিন ও কমলা পাড়ের শাড়ির সঙ্গে লাল বøাউজ মানানসই। কমলা রঙের বøাউজ পরতে পারেন হালকা সবুজ জমিন হলুদ পাড়ের শাড়ির সঙ্গে। ¯িøভলেস বøাউজ পরলে শাড়িটা এক প্যঁাচে না পরাই ভালো। অল্টারনেক বা পেছনে কয়েক রঙের ফিতা দেয়া ¯িøভলেস বøাউজও পরা যেতে পারে। থ্রি কোয়াটার্র হাতায় অথবা গলায় কুচি দিয়ে বøাউজ তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শাড়ি এক প্যঁাচেতেই বেশ ভালো মানাবে। এ ছাড়া গড়ন বুঝে ¯িøভলেস বøাউজও বানাতে পারেন। সব হাতে ¯িøভলেস বøাউজ মানায় না। লম্বা, মেদবজির্ত, লোমহীন, পরিষ্কার নরম কনুইয়ের সুডৌল হাতের অধিকারী যে কেউ পরতে পারেন ¯িøভলেস। ¯িøভলেস বøাউজের জন্য হাতের গড়ন বড় বিষয়। অতিরিক্ত মোটা বা চিকন হাতে ¯িøভলেস ভালো মানায় না। তবে শখ তো ধরাবাধা নিয়ম মানে না। যারা একটু মোটা, তারাও ¯িøভলেস বøাউজ পরতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে কঁাধের অংশ একটু চওড়া, আর পেছনে ওঠানো গলা ভালো মানাবে। এ ছাড়া যে পোশাকে আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন; সে পোশাক যতই সুন্দর হোক না কেন, তা আপনাকে মোটেও মানাবে না। সময়ের পরিবতের্ন তৈরি হচ্ছে নানা ঢঙের ¯িøভলেস বøাউজ। কখনো কঁাধ চওড়া, কখনো আবার ফিতার মতো সরু। পিঠ খোলা কি গলা বন্ধ, চায়নিজ কলার কি ব্যান্ড গলা, পেছনে ফিতা বা জুড়িতে ফিতার সঙ্গে গলার কাটিং বৈচিত্র্য তো রয়েছেই। জনপ্রিয় কিছু বøাউজের মধ্যে রয়েছেÑ হল্টারনেক : হাতাছাড়া এ ধরনের বøাউজে শুধু কলার থাকে। দুই কঁাধের ফিতা ঘাড়ের পেছনে কলারের মতো জুড়ে থাকে। যাদের দৈহিক গড়ন সুন্দর, তারা গলা, কঁাধ ও পিঠের সৌন্দযর্ প্রকাশ করতে এ বøাউজ পরতে পারেন। টিউব চোলি : এই বøাউজে কোনো শোল্ডার বা ¯িøভ থাকে না। মাপ হতে হবে নিখুঁত। এর প্রধান অংশ বøাউজের। সেটা পেছনে বা সামনেও হতে পারে। গলার মাপ খানিকটা বড় হবে। কলার স্টাইল : এ বøাউজে হাতা থাকে না, তবে কঁাধের অংশ খানিকটা চওড়া হয় আর কলার থাকে। সবাইকেই এ বøাউজে ভালো মানাবে। সিঙ্গল শোল্ডার : যাদের কঁাধ বড়, এ বøাউজ তার জন্য উপযোগী। এতে একটিমাত্র শোল্ডার বা ফিতা থাকে, আর কঁাধ কিছুটা খোলা রাখা থাকে। শারীরিক গঠন বেশ ভালো হলে এ ধরনের বøাউজ বেশ আকষর্ণীয় লাগে। করসেট : এ বøাউজের কঁাধে সরু স্ট্রাইপ থাকে এবং নিচের অংশ ফিটিং থাকে। যাদের দেহের গড়ন চ্যাপ্টা, তারা করসেট পরতে পারেন। করসেট বানাতে হয় ঠিক মাপে। সঠিক মাপেই এ বøাউজের সৌন্দযর্। শাড়ির সঙ্গে বøাউজ তাই গুরুত্বপূণর্ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে পরিপূণর্ সাজে। সামাজিক উৎসবে, বিভিন্ন পাবের্ণ বাহারি শাড়ির সঙ্গে এখন বাঙালি নারীর পছন্দ হাল ফ্যাশনের রঙিন বøাউজ। এই বøাউজে রঙের যেমন বাহার রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ডিজাইনও মন কেড়ে নেবে। সময়ের বিবতের্ন বøাউজের এই নানারকম ডিজাইন শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে নিলে পরিপূণর্ এক সৌন্দযর্ ফুটে ওঠে।