মা-বাবার জন্য ভিন্ন কিছু

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সুলতানা পারভীন
বাবা-মাকে ভালোবাসতে আমাদের দিন লাগে না, এটা যেমন সত্যিÑ তেমনি এটাও সত্যি যে, সারাজীবন আমাদের যতœ নিতে নিতে কাটিয়ে দেয়া মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে ‘ভালোবাসি’ও বলা হয় না। মায়ের ভালোবাসা পেয়ে আমরা এমনই অভ্যস্ত থাকি যে, তাকে আলাদা করে আর বলা হয় না তিনি আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূণর্। তার জন্য তৈরি রাখুন ভালোবাসার বিশেষ চমক। আর জানিয়ে দিন কতটা ভালোবাসেন বাবাকে! মা-বাবার জন্য ভিন্ন কিছু করুন। বাজার থেকে কিনে উপহার তো সবাই দেবে। আপনি না হয় ব্যস্ত জীবন থেকে কিছু সময় বের করে নিজের হাতেই কিছু তৈরি করুন মায়ের জন্য। আমরা আপনাকে দিচ্ছি কিছু অন্যরকম আইডিয়াÑ ছবির ছন্দ : মায়ের পুরনো কোনো ছবি নিন, যেখানে আছে মা আর তার মা মানে আপনার নানি। একই পোজে আপনার আর আপনার মায়ের একটা ছবি তুলুন। হোক তা সাদা-কালো। এক দেয়ালে তিন প্রজন্মকে পাশাপাশি রাখুন। একইভাবে দাদা-বাবা আর ছেলের ছবি। দেখুন তাদের মুখ কেমন আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। গল্প বলা ডায়েরি : এমন একটা ডায়েরি করুন যার পাতায় পাতায় তুলে আনুন মা-বাবা আর আপনার স্মৃতি। ছোটবেলার ছবিগুলো যোগ করুন। তার সঙ্গে যোগ করুণ কিছু কবিতা কিংবা এমন কথা যা বলা হয়নি। যোগ করুন কিছু ‘ধন্যবাদ’, সেটাও নিশ্চয়ই বলা বাকি। ম্যাজিক মগ : অনলাইন কেনাকাটায় ম্যাজিক মগ এখন সবার পরিচিতই বলা চলে। কালো রঙের হবে মগটি। কিন্তু আসলে আপনার আর বাবা-মায়ের ছবি লুকানো আছে মগের গায়ে। মা-বাবাকে নিয়েই যতœ করে চা বা কফি বানিয়ে পরিবেশন করুন, তাদের সামনেই গরম তরল ঢালার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে উঠবে ছবিটি। ভালোবাসা ভরা দুচোখ বিস্ময়ে ভরে যাবে তাদের। ফটো বøাঙ্কেট : আপনার আর বাবা-মায়ের স্মৃতিবিজড়িত ছবিগুলো স্ক্রিনপ্রিন্ট করে বসিয়ে নিতে পারেন কাপড়ে। তারপর কাপড়টি দিয়ে তৈরি করুন বøাঙ্কেট। সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন মিষ্টি কোনো কবিতা। কৃতজ্ঞতা দেয়াল : বাসার একটা দেয়াল নিবার্চন করুন। বড় একটা বোডর্ লাগান। তাতে বসান হাতে বানানো কাডর্। কাডের্ লিখুন মায়ের গুণগুলোর কথা, তাকে কতটা ভালোবাসেন তার কথা। এ ছাড়া বাবার পরিশ্রম আর তার আত্মত্যাগের কথা। ব্যক্তি হিসেবে তারা কতটা সুন্দর সেটা তুলে ধরুন। এই দেয়ালের আরেকটা মজা হলো, সারা বছরই যোগ করতে পারবেন নতুন কাডর্, নতুন ছবি। বাবা-মায়েরা ভালোবাসার বিনিময়ে চান না কোনো কিছুই। আপনি যে তার জন্য ভেবেছেন, এতেই তিনি খুশি হবেন। তাই একটু সময় নিয়ে ভাবুন, আন্তরিকতা দিয়ে ছোট্ট কিছুই না হয় করলেন!