এই গরমে পারফেক্ট ফাউন্ডেশন

আপনার ত্বকের ধরন কী, তা আপনাকে বুঝতে হবে। হতে পারে তা শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক অথবা মিশ্র। শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেছে নিন আর্দ্রতা দেয় এমন ফাউন্ডেশন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন সবচেয়ে উপযুক্ত

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সাবিহা আনজুম
বসন্তের সন্ধ্যায় যদিও বেলাটা গা সওয়া কিন্তু দিনের বেলার চিড়বিড়ে রোদে মেকআপ ঠিক রাখাটাই মুশকিল। সহজেই মেকআপ গলে যায়। গরমের সময় মেকআপ করতে হবে 'সফট অ্যান্ড ডেলিকেট'। অন্যান্য সময়ের থেকে আলাদা মেকআপে কী রঙের ব্যবহার করবেন তার দিকে খেয়াল রাখা দরকার। উপযুক্ত ওয়াটার বেসড ও পাউডার মেকআপ, লিপ কালারের মভ, পিংক কালার ব্যবহার করতে পারেন। স্কিন টোন ও পোশাক অনুযায়ী মেকআপের রং বেছে নিন। রোদ্দুরে বের হলে মেকআপ কী রকম হলে ভালো হয়, সেই নিয়ে ভুল ধারণার শেষ নেই। তাই মেকআপ করতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। মেকআপ করার সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন। মেকআপের ক্ষেত্রে শুরুতেই ফাউন্ডেশন যেমন অপরিহার্য, তেমনি ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক ফাউন্ডেশনটি বেছে নেয়া কিছুটা ধাঁধার মতোই। ফাউন্ডেশন নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন কিছু অনুশীলন আর সতর্কতা অবলম্বন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চারটি মূল বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো হলো- ত্বকের ধরন, পছন্দসই কভারেজ, ত্বকের রং ও বর্ণ। ত্বকের ধরন : আপনার ত্বকের ধরন কী, তা আপনাকে বুঝতে হবে। হতে পারে তা শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক অথবা মিশ্র। শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেছে নিন আর্দ্রতা দেয় এমন ফাউন্ডেশন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন সবচেয়ে উপযুক্ত। জেনে নিন কোন ধরনের ত্বকে কী রকম ফাউন্ডেশন ইউজ করবেন- লিকুইড ফাউন্ডেশন : লিকুইড ফাউন্ডেশন অনেক লাইটওয়েট যুক্ত হয়ে থাকে এবং এটি খুব সহজে ত্বকের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। এর প্রয়োগ পদ্ধতিও অনেক সহজ। তাই এই লিকুইড ফাউন্ডেশন মেয়েদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। বাজারে বিভিন্ন সেডের লিকুইড ফাউন্ডেশন রয়েছে যা ওয়েল বেস বা ওয়াটার বেস হিসেবেও পাওয়া যায়। এক কথায় আপনার ত্বকের ধরন বুঝে বিভিন্ন প্রকারের লিকুইড ফাউন্ডেশন বাজারে রয়েছে। স্টিক ফাউন্ডেশন : এ ধরনের ফাউন্ডেশন স্টিকের আকারে পাওয়া যায়। এ ধরনের ফাউন্ডেশন লাগানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুকিয়ে যায় এবং মুখে একটা ম্যাট ফিনিস প্রদান করে। কনসিলার একটি বিকল্প হিসেবে এই স্টিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা মুখের দাগ ঢাকতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য এ ধরনের স্টিক ফাউন্ডেশন অনেক হেভি থাকে, তাই ফটোশুট বা স্টেজ বা নাটকের মেকাআপে ব্যবহার করা হয়। পাউডার ফাউন্ডেশন : আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারে এসেছে পাউডার ফাউন্ডেশন। পাউডার ফাউন্ডেশন সাধারণত দুই ধরনের পাওয়া যায়, লুজ পাউডার এবং প্রেসড পাউডার। এধরনের পাউডার অনেক শুষ্ক থাকে, তাতে কোনো আর্দ্রতা থাকে না। এ ধরনের পাউডার ফাউন্ডেশন তাদের জন্যই উপযুক্ত যারা খুব একটা মেকআপ করেন না। এটি ব্যবহার করা যেমন সহজ, তেমনি কম সময় সাপেক্ষ এবং একটা ন্যাচারাল লুক দিয়ে থাকে। ব্যস্ত মহিলাদের কাছে পাউডার ফাউন্ডেশন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এর সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে ব্যবহার করলে এতে পাওয়া যায় লিকুইড ফাউন্ডেশনের ইফেক্ট। গরমের দিনে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। তবে কভারেজ পাওয়া যায় একটু কম। ওয়াটার প্রম্নফ ফাউন্ডেশন : খুব গরম, বৃষ্টির এবং আর্দ্র ঋতুতে মেকআপের জন্য ব্যবহার করা সবচেয়ে পছন্দের ফাউন্ডেশন হলো ওয়াটার প্রম্নফ ফাউন্ডেশন। এটি জল-প্রতিরোধী করে ত্বকে মেকআপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওয়াটার প্রম্নফ ফাউন্ডেশন ক্রিম ফর্ম পাওয়া যায়। এর প্রয়োগ খুব সহজ এবং ত্বককে ওই আবহাওয়াতেও সতেজ রাখে। মুজ ফাউন্ডেশন : তৈরির প্রযুক্তিগত দিক থেকে মুজ ফাউন্ডেশন এখনো পর্যন্ত সবার শীর্ষে। এটি যেমন কভারেজও দেয় ভালো তেমনি সব সময় সবখানে ব্যবহার করা যায় সহজেই। আর সব ধরনের ত্বকেও মানিয়ে যায়। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য আদর্শ। অনেকেই শুষ্ক ত্বকে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই মুজ ফাউন্ডেশন। এর গঠন অনেক মসৃণ হয়, তাই ত্বকের সঙ্গে খুব সহজেই মানিয়ে যায়। ত্বকের রং : আপনার ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন নির্ধারণ করার জন্য পর্যাপ্ত আলোর নিচে তা মুখের চোয়ালে অথবা হাতের উল্টো পাশে লাগিয়ে দেখুন। যেই রংটি আপনার ত্বকের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যাবে, সেটিই হলো আপনার ফাউন্ডেশনের সঠিক রং। ত্বকের বর্ণ : একই রকম ত্বকের ধরন অথবা একই রকম ত্বকের রং হলেও প্রত্যেক মানুষের ত্বকের বর্ণ ভিন্ন হয়ে থাকে। বর্ণ বোঝার জন্য খুব ভালো করে নিজের ত্বক আর হাতের তালুর উল্টো পাশের শিরাগুলোকে দেখুন। শিরায় হলুদ, গোলাপি, লালচে, নীল বা জলপাইয়ে রংটির প্রভাব বেশি লক্ষ্য করছেন, সেটিই আপনার বর্ণ। ফাউন্ডেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিক। যদি আপনার শিরা নীল, গোলাপি অথবা লালচে দেখায়, তাহলে আপনি শীতল (কুল) বর্ণের আর আপনার ফাউন্ডেশনও এই বর্ণের হওয়া উচিত। যদি নীল আর জলপাইয়ের মিশ্র রং দেখা যায়, তাহলে আপনি স্বাভাবিক বর্ণের। জলপাই আর হলুদাভ হলে আপনার বর্ণ হলুদ বা উষ্ণ (ওয়ার্ম)। ফাউন্ডেশনে লেখা দেখে দেখে বেছে নিন সঠিক বর্ণের ফাউন্ডেশন।