যত্নে কাটুক সারা বেলা

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সোনিয়া জাকির
শীত শীত ওমের দিন শেষ। আরামের দিনও গেল! কারণ, মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গরম। শুষ্কতা ছাড়াও আছে ধুলোবালু। যে কারণে শীত ছাড়া আপনার ঠোঁট ফাটতে পারে। বাইরে গেলে ত্বকে টানটান অনুভব করতে পারেন। ছেলেদেরও ঠোঁট বা ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এই মৌসুমে। তবে একটু সচেতন থাকলে এই সময়েও আপনি থাকবেন সতেজ। চৈত্রের আবহাওয়া খানিকটা শুষ্ক। ফলে এই সময়ে হাত-পায়ে অনেকটা টানটান ভাব দেখা যায়। এমনিতে ছেলেরা বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে না। তাই এই সময়ে অল্প কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করতেই পারে। এতে নিজেকে সারাদিন সতেজ রাখা সহজ হবে। ঠোঁটের যত্ন : এখন ভোরের দিকে কিছুটা শীতভাব থাকলেও দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে তা মিলিয়ে যায়। শুষ্ক বাতাসে ঠোঁটে শুষ্কতা দেখা যায়। ঠোঁট সতেজ রাখতে ব্যবহার করুন লিপবাম বা চ্যাপস্টিক। এতে ঠোঁট থাকবে কোমল। ঠোঁট ফাটা বা ঠোঁটের চামড়া উঠে যেতে পারে নানা কারণে। ঠোঁটের ওপর পুরনো লিপবাম শুকিয়ে এমনটি হতে পারে। পানি কম খাওয়ার কারণেও ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া অনেকে জিহ্বা দিয়ে বারবার ঠোঁট ভেজায়। এতে স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঠোঁটের ওপরে কোনো ধরনের পুরনো বাম লাগানো থাকলে তা পানিতে কাপড় বা তুলা ভিজিয়ে তুলে ফেলতে হবে। চাইলে ভেজা টিসু্যও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া তিন থেকে চার ঘণ্টা পর পর ঠোঁটে লিপজেল বা চ্যাপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। অযথা ঠোঁটের চামড়া ওঠানোর দরকার নেই। এতে চামড়ার সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে। মুখের যত্ন : তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা জমে মুখে সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে। পানির অভাবেও ত্বক খসখসে দেখায়। তাই বাইরে থেকে এসে মুখটা পরিষ্কার করে নিতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে একটু ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে ত্বক কোমল থাকবে। সকালে উঠেই তা আবার পরিষ্কার করে ফেলুন। ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন লোশন (সিপিএফ ১৫) লাগাতে পারেন। অবশ্যই বেশি করে পানি খেতে হবে এই সময়ে। তা ছাড়া এই সময়ে পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে খেতে পারেন ডাবের পানিও। গোসলের সময়ে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিতে পারেন। মুখে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম।