রোজার দিনে ত্বকের সুস্থতা

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৯, ০০:০০

শ্রাবণী জামান
সঠিক যত্নে ত্বক থাকবে প্রাণবন্ত ছবি : আসমা শোভা
রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিরা সুদীর্ঘ সময় পানি পানে বিরত থাকার ফলে অনেকের ত্বক মলিন ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের দেশে অনেকেই রমজান মাসে পরিপূর্ণ খাদ্যা গ্রহণ করতে পারেন না, আবার কিছু কিছু ধনাঢ্য খাদ্য-বিলাসী এতই খাবার গ্রহণ করেন যে, তাতে তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও রোগবালাইয়ের সম্মুখীন হতে হয়। সাধারণত মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা রোজায় খাদ্যাভ্যাসে পরিমাণ মতো ইফতার, লেবুর শরবত, শসা, কিছু রসালো ফল, খেজুর, গাজর ও প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভোর রাতে নিয়মিত খাবারের সঙ্গে দুধ ও শেষে অতিরিক্ত দুই গস্নাস পানি পান আপনার সারা দিনের পিপাসা ও ক্লান্তি রোধ করতে পারে। মনে রাখতে হবে, রোজায় অতিরিক্ত খাবারের চেয়ে পুষ্টিকর চর্বিমুক্ত সীমিত খাবারই আপনার ত্বককে সুন্দর ও স্নিগ্ধ রাখবে। এ ছাড়া পুরো রোজার মাস আপনি আপনার লাইফস্টাইলকে সাজিয়ে নিতে পারেন। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য হবে সুষম, হজমযোগ্য ও পুষ্টিকর, যেমন- মাছ, গোশত, ডিম, দুধ, ফলমূল ও সবজি। পরিহার করবেন অতিরিক্ত মসলা, ঝাল, কফি ও চর্বিজাতীয় খাবার। মনে রাখতে হবে, বেশি খাবারের জন্য রোজা নয়, সিয়াম সাধনার জন্য রোজা। বেশি খাবেন মুটিয়ে যাবেন। আর মুটিয়ে গেলে বিভিন্ন অসুখের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবার রোজা চলছে প্রচন্ড দাবদাহের ভেতর। এ সময় গরম আপনাকে সহজেই ক্লান্ত করে ফেলতে পারে। তাই আপনার পরিধেয় কাপড় হোক ঢিলেঢালা, নরম ও সুতির। টাইটফিটিং নাইলন ও মোটা কাপড় পরিধান করা উচিত নয়। নাইলন কাপড় শরীর থেকে ঘামের উৎপত্তি বাষ্পীয়করণের স্বাভাবিক ব্যবস্থাকে প্রতিহত করে। তাই তা পরিহার করাটাই শ্রেয়। ঋতুভিত্তিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরাটাই শ্রেয়, যা আপনার শরীরের ত্বকের ওপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না। অনেকেই রমজান মাসে গোসল নিয়ে বিপাকে পড়েন। যাদের অফিসের খুব তাড়া বা সকাল সকাল অফিস তারা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন। এর মধ্যে আপনি সেহরির আগে গোসল করে নিতে পারেন, গোসলের সঙ্গে ত্বকের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। যারা নিয়মিত গোসল করেন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন তাদের ত্বক এমনিতে ভালো থাকে, ত্বক সুস্থ রাখতে পরিষ্কার ও ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাটা খুবই জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ-হাত-পা ধুয়ে ভারী ক্রিম বা লোশন খানিকটা পানির সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এতে আর্দ্রতা থাকবে ৩-৪ ঘণ্টা। দুপুরেও একইভাবে ত্বককে আর্দ্রতা দিন। রাতের জন্য অন্য পদ্ধতি। জলপাই তেল ও পানি ভালো করে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন। তুলার সাহায্যে ১০-১৫ মিনিট মালিশ করুন। এরপর রুমাল বা টিসু্য দিয়ে মুছে নিন। পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সব শেষে রাতের ক্রিম লাগাতে পারেন। রাতে আর ফেসওয়াশ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সারা দিন কাজে ব্যস্ত। ঘুমানোর আগে হয়তো একটু সময় হতে পারে ফেসপ্যাক ব্যবহারের। ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে ফেসওয়াশ ও ক্লিনজারের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করে নিলে খুবই ভালো হয়। সব সময় সেটি সম্ভব না হলেও কখনোই ধুলাবালি ত্বকে ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন না।