ঈদচলতি গহনা

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সোরিয়া রওনক এবারের ঈদে লম্বা কামিজ বেশ জাঁকিয়ে এসেছে। দর্জিবাড়ি কিংবা ফ্যাশন হাউসে সব জায়গাতেই লম্বা কামিজের জয়জয়কার। লম্বা কামিজের সঙ্গী হচ্ছে লম্বা লম্বা কানের দুল। সোনা, রুপা, ব্রাসো, কাঠ, কড়ি, পুঁতি উপাদান যা-ই হোক, ফ্যাশন কিন্তু একটাই, লম্বা দুল। এতই লম্বা যে কান থেকে শুরু হয়ে এই দুল শেষ হবে প্রায় কাঁধে এসে। কানের দুল, গলার মালা বা গহনা, যা-ই বলি না কেন, কয়েক পরতের ডিজাইন অথবা একটু বড় ডিজাইন, এই হলো এবারের ঈদে গহনার ফ্যাশন। কানের দুলে যেমন থাকছে লম্বাটে ভাব, তেমনি গলার গহনা হতে পারে ছড়ানো, লম্বাটে লকেট অথবা তিন, পাঁচ, সাত লহরের মালা। হাতে ব্যাঙ্গলস বা বালার ব্যবহার তো এখন হাই-ফ্যাশন। শুধু এক রঙের একটি বালাতেই হবে না, চাই তিন-চার রকমের, তিন-চার রঙের বালা। এবারের ঈদ ফ্যাশনে গহনা হবে মূলত দুই ধারার। ফ্যাশন বা কস্টিউম গহনা এবং গতানুগতিক গহনা। ফ্যাশন গহনায় এবার থাকছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে ব্রাসো, ইমিটেশন, কাঠ, কড়ি, পুঁতি, সুতা, শেল ও সিরামিক। এই বিভিন্ন উপাদানে তৈরি ফ্যাশন-গহনায় থাকবে রঙের বৈচিত্র্য, অনেক রঙের সমন্বয়- এ হলো ফ্যাশন গহনার মূল থিম। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মূলত আদিবাসী রং মাথায় রেখেই সবাই এ ধরনের গহনার নকশা করছেন। তবে রং বা নকশা যা-ই হোক না কেন, এই গহনায়ও প্রাধান্য পাবে বড় এবং লম্বাটে আকৃতি। কানের দুল যেমন হবে অনেক বড়, তেমনিভাবে গলার মালাতেও থাকবে কয়েকটি লহর। দেখা যাবে মালায় বিভিন্ন ধরনের পুঁতি ব্যবহার করলেও মালার এক পাশে বিশেষ নকশা থাকবে। হয়তো একটু বড় পাথর অথবা লক্ষণীয় কোনো নকশা। গোল নকশা বা নকশায় রিঙের প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে। গতানুগতিক ধারার গহনায় মিশ্রণের পরিবর্তন এসেছে। সোনা ও রুপা বা হলদে এবং সাদা সোনার সমন্বয়ে নকশা করা হয়েছে এ ধরনের গহনায়। মাহিন খানের কাছ থেকে জানা গেল সাদা ও হলদে সোনার পাশাপাশি রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনার প্রাধান্যও দেখা যাবে প্রচলিত গহনায়। আর প্রচলিত গহনায় থাকছে মোগল আমলের নকশা। যে কোনো গহনায়ই পাথরের ব্যবহার লক্ষণীয়। সোনা বা রুপার গহনায় পাথরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে পলকি ও কুন্দন। সেই সঙ্গে রুবি, পান্না, সোনালি টোপাজও রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়।