সং ক্ষে পে

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হাতের কাছেই সবকিছু য় রঙ বেরঙ ডেস্ক ঈদের দিন রান্নাঘরে হাজারটা কাজ। মাংস কাটা-বাছা তো আছেই। আবার এই পেঁয়াজ কাটা, এই সালাদ বানানো কত কিছু। রসুইঘরে তাই সবকিছু রাখা চাই হাতের কাছে। ঈদের দিনের জন্য হেঁশেল বড় কিংবা ছোট যেমনই হোক না কেন, চুলা এবং ওভেনের পাশে এমন জায়গা রাখতে হবে, যেখানে অনায়াসেই গরম পাত্রটা নামিয়ে রাখা যায়। তাৎক্ষণিক ব্যবহারের জন্য বেস্নন্ডার, ফুড প্রসেসর- এসব যন্ত্র কেবিনেট থেকে বের করে রাখতে পারেন। চুলার ডান পাশেই ছুরি, চামচ এবং চপিং বোর্ড রাখলে কাজ করতে সুবিধা হয়। মাপার যন্ত্রটাও হাতের কাছে রাখাই ভালো। চুলার নিচের অংশটা ফাঁকা রাখা উচিত। সিঙ্ক এমন জায়গায় থাকবে, যেখানে পর্যাপ্ত আলো পায়। এতে সিঙ্কের পাশে রাখার্ যাকে থালাবাসন ধুয়ে ঝুলিয়ে দিলে দ্রম্নত শুকিয়ে যায়। সিঙ্কের চারপাশের পানি বারবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে, যাতে সঁ্যাতসেঁতে ভাব না হয়। কেবিনেটের সামনের দিকে রাখতে হবে বেশি দরকারি মসলার পাত্রগুলো, যাতে চাইলেই কেবিনেট খুলে প্রয়োজনীয় জিনিস নেয়া যায়। এই সময়ের অনুষঙ্গ য় রঙ বেরঙ ডেস্ক পোশাকের সঙ্গে একটু কনট্রাস্ট বা কোনো একটি রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যাগ ও স্যান্ডেল চলছে। এ জন্য চলে আসতে পারেন ঢাকার গুলশানে অটোবির ক্লজেটে। ব্যাগ, জুতা, পোশাক নিয়ে অটোবির এই নতুন আয়োজন। এখনকার ক্রেতারা এক জায়গা থেকে ভালো মানের জিনিস কিনতে চান। তাদের কথা ভেবেই যাত্রা শুরু ক্লজেটের। এখানে টিনএজ থেকে শুরু করে মধ্যবয়সীদের জন্য বৈচিত্র্যময় সব নকশার ব্যাগ ও স্যান্ডেল আছে। এখানে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে স্যান্ডেল থাকে, যাতে আপনার কেনাকাটা সহজ হবে। এবারও ফ্ল্যাট স্যান্ডেলের চল, তবে এতে নতুনত্ব এসেছে। নানা ধরনের ফিতার সমাহারে তৈরি গস্ন্যাডিয়েটর স্যান্ডেলগুলো ক্যাপ্রি, লেগিংস বা টাইটসের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়। সঙ্গে পরতে পারেন কুর্তা বা টপস। জিন্স বা অন্য যে কোনো প্যান্টের সঙ্গে ফ্ল্যাট বা একটু উঁচু স্যান্ডেল ভালো দেখাবে। স্কিনি জিন্স পরে একটু এলোমেলো লুক আনতে চাইলে স্টেজ শু বা স্যান্ডেল পায়ে গলিয়ে নিতে পারেন। তবে এ ধরনের স্যান্ডেল পরার আগে খেয়াল রাখবেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়েছে কিনা। স্টিলেটো হিলের স্যান্ডেল পরে ঈদের সন্ধ্যায় যে কোনো নিমন্ত্রণে চলে যান। জমকালো উৎসবে এ স্যান্ডেল মানানসই। স্যান্ডেলে নানা ধরনের বর্ণিল পুঁতি, পাথরের কাজ ব্যবহার করা হয়েছে। সামনে কয়েক রঙের ফিতা ও পেছনেও ফিতা ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি বাহারি নকশার উঁচু হিলও চলছে। যারা উঁচু স্যান্ডেল পরতে চান, অথচ পরে তেমন স্বাচ্ছন্দ্য পান না, তারা সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে বস্নক হিল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আরামদায়ক হবে। আর হালের জনপ্রিয় ব্যালেরিনা শু তো আছেই। ব্যাগ ও স্যান্ডেলে এখন উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। কালো, সাদা, সবুজের পাশাপাশি কমলা, লাল, গাঢ় পার্পল, গোলাপি রঙের ব্যাগ চলছে। ক্লাচ ব্যাগের আকারে পরিবর্তন এসেছে। কোনোটি বটুয়ার মতো, কোনোটি চার কোনা খামের মতো, আর কোনোটি দৈর্ঘ্যে বড়। আপনার পোশাকের সঙ্গে মানানসই ব্যাগ ও স্যান্ডেল ঈদকে ভিন্নমাত্রা দেবে। ঈদের আগে একটু যত্ন য় রঙ বেরঙ ডেস্ক ঈদের আগে থেকেই হাতের ওপর এই ঝক্কি শুরু হয়। তাই এ ঈদে চাই হাত ও নখের বাড়তি যত্ন। অনেকে মনে করেন, আগে যত্ন নিলেও ঈদের দিন কাজ করতে করতে হাতের সৌন্দর্য এমনিতেই কমে যায়। এ ঈদে অন্য সময়ের চেয়ে তেল-চর্বির ব্যবহার বেশি থাকে। ফলে নখে তেল-চর্বি জমে যায়। সে কারণে রান্নাঘরে হালকা গরম পানি করে রাখতে হবে। মাংস কাটা ও ধোয়ার পর হালকা গরম পানিতে হাতটা ধুয়ে নিলে চর্বি সরে যাবে। এরপর মৃদু ক্ষারের সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। নখে সবজি বা অন্যকিছুর দাগ পড়লে লেবু দিয়ে হালকা ঘষলেই দাগ চলে যাবে। আর যতবার হাত ধোবেন, ততবারই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে হাতের ত্বক রুক্ষ হবে না। ফারজানা আরমান মনে করেন, ঈদের অন্তত তিনদিন আগে সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্রে গিয়ে ম্যানিকিউর করতে হবে। শুধু হাতের যত্ন করার কারণে পায়ের সৌন্দর্য কমে যাবে, তা তো হবে না। একই সময়ে পেডিকিউরও করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় নেই। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বাড়িতেই করতে পারেন ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর। একটি ছোট গামলায় হালকা গরম পানিতে লবণ, নারকেল তেল ও শ্যাম্পু দিন। এরপর তাতে ১০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। যেহেতু অনেক কাজ করতে হয়, ফলে নখ একটু খাটো করাই ভালো। আর নখ কাটতে চাইলে হাত-পা পানিতে ডোবানোর আগেই কেটে নিতে হবে। বাজারে নখ ফাইল করা ও কিউটিকল পরিষ্কার করার জন্য যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। সেসব কিনে নিলে সহজে ম্যানিকিউর করতে পারবেন। এরপর নরম ব্রাশ দিয়ে হাত-পা ঘষতে হবে। পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার করার জন্য ঝামা ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার হয়ে গেলে লেবু দিয়ে হাত ও পায়ের নখ আলতো করে ঘষে নিন।