ঝটপট কাজ ও সাজ

এ ঈদে সকাল শুরু হয় ব্যস্ততা দিয়ে। দুপুর পর্যন্ত নানা কাজের ঝক্কি সামলাতে হয়। এর মাঝেও ঈদের দিন না সাজলে কি চলে? ঈদ বলে কথা। কাজের ঝক্কি তো থাকবেই। ফলে কাজ সাজ দুই-ই করতে হবে। ঈদের দিন সকালে উঠে গোসল করে প্রথমে চুলটাকে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর হালকা করে হাতখোঁপা, পনিটেল করে রাখতে পারেন। মেকআপ হবে হালকা ধরনের। লিখেছেন সাবিনা ওয়াহাব

প্রকাশ | ০২ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মডেল : আসমা শোভা
সকালে পরিপাটি ঈদের দিন সকালে একেবারে ছিমছাম, পরিপাটি থাকা ভালো। পোশাকটাও হতে হবে হালকা কোনো কাজের বা রঙের। রান্নাবান্নার জন্য অনেকে মনে করেন সাজ তো নষ্ট হয়ে যাবে। তাদের জন্য রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ- সকালে হালকা কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে সাজা ভালো। এতে ঘাম হবে না। আবার দেখতে স্নিগ্ধ লাগবে। এরপর পানিরোধক আইলাইনার দিয়ে চোখ এঁকে নিতে পারেন। দুপুরে সাজ-পোশাকে ফুরফুরে ভাব আনা যায়। চোখ আকর্ষণীয় করার জন্য ভালোভাবে মাশকারা ব্যবহার করতে হবে। প্রথমবার মাশকারা দিয়ে শুকিয়ে এলে দ্বিতীয়বার দিতে হবে। এতে ঘন দেখাবে চোখের পাতা। মাশকারাও যেন পানিরোধক হয়। যদি সকালেই আত্মীয় বা আশপাশের বাসায় যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে হালকা গোলাপি, পিচ রঙের বস্ন্যাশন ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়িতে বস্ন্যাশন ব্যবহারের জন্য আলাদা ব্রাশ কিনতে হবে। সকালে বেছে নেয়া যায় হালকা রং। হালকা কোনো রং যেমন- হালকা গোলাপি, পিচ, মভ বা ন্যাচারাল রঙের লিপস্টিক লাগাতে হবে। কিন্তু লিপস্টিক হতে হবে ম্যাট। যাতে দীর্ঘক্ষণ থাকে, ঘেমেও না যায়। দুপুরে হালকা ঈদের দিন দুপুরের মধ্যেই বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়ে যায়। এরপর চাইলে ফেসিয়াল ওয়াইপ দিয়ে মুখ মুছে নিতে পারেন। তাহলে আইলাইনার লেপটে যাওয়ার ভয় থাকবে না। ভারী ফাউন্ডেশন না দিয়ে মিনারেল ফাউন্ডেশন দিতে পারেন। গরম বেশি থাকলে কমপ্যাক্ট পাউডারের প্রলেপ দিলে ফুরফুরে লাগবে আপনাকে। এবার চোখের ওপরের পাতায় আরেকবার নীল, সবুজ ও অন্য যে কোনো উজ্জ্বল রঙের আইলাইনার দিতে পারেন। আইশ্যাডো হতে পারে বাদামি, তামা রঙের। লিপস্টিকের রঙের ক্ষেত্রে সকালের মতো হালকা রংই ভালো হবে। রাতের আভিজাত্য সন্ধ্যার পর সাজটা জমকালো হবে। তখন রং নিয়ে নিরীক্ষা করতে পারেন। ফাউন্ডেশন দিয়ে প্রথমে বেইস করে নেবেন। এরপর কমপ্যাক্ট পাউডারের প্রলেপ দিন। এ সময় যেহেতু উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিকের চল, তাই চোখের মেকআপ হালকা হওয়াই ভালো। লাল, কমলা ও খয়েরি রঙের লিপস্টিক দিতে পারেন। রাতের সাজে চোখের নিচেও গাঢ় করে কাজল ব্যবহার করতে হবে। এ সময় চুল একটু এলোমেলো, একটু কোঁকড়া করে ছেড়ে রাখতে পারেন। বাইরে বের হওয়ার আগে সুগন্ধি দিলে মন ফুরফুরে থাকবে। ঈদের আগের রাতের রূপচর্চা সবাই চান ঈদের দিনটিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে এবং ফ্রেশ লুকে থাকতে। এই কারণে ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় নানা ধরনের ঈদ প্রস্তুতি। অনেকেই ঈদের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ত্বকের, চুলের ও পুরো দেহের যত্ন নেয়া শুরু করে দেন। কিন্তু ঈদের আগে থেকেই রূপচর্চা এবং প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলেও ঈদের আগের দিনে কিছুটা সময় বের করে নিয়ে বিশেষ করে রাতের বেলা সময় বের করে নিয়ে বাড়তি যত্ন নেয়া উচিত সবারই। এতে ঈদের দিন সকাল থেকেই আপনাকে দেখাবে একেবারে ফ্রেশ এবং সুন্দর। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক ঈদের আগের দিন কী কী প্রস্তুতি নিতে পারেন। সবার প্রথমে মুখে পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ফেস স্ক্রাবার দিয়ে ২-৩ মিনিট মুখের ত্বক স্ক্রাব করে নিন। স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন নিচ থেকে ওপর মোশনে। ম্যাসাজ করা শেষ হয়ে গেলে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে লেবুর রসে সামান্য চিনি গলিয়ে নিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার দিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন। মুখ ধুয়ে মুছে নিয়ে একটি ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে ৫ মিনিট একইভাবে মুখের ত্বক ম্যাসাজ করে নিন। এবং একটি টিসু্য দিয়ে মুখ মুছে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুখ ভালো মতো মুছে ভালো কোনো মাস্ক বা ফেস প্যাক, যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী তা লাগিয়ে ফেলুন। ঘরে মাস্ক তৈরি করতে চাইলে একটি পাকা কলা, ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ভালো করে ধুয়ে-মুছে নিয়ে ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ত্বকের যত্ন শেষ করুন। ত্বকের পাশাপাশি হাত-পায়েরও সমপরিমাণ যত্ন নেয়া উচিত। এতে আপনার রূপচর্চা পরিপূর্ণ হবে। হাত-পায়ের যত্নের জন্য একটি বড় পাত্রে হালকা গরম পানি, সামান্য শ্যাম্পু, ১ চিমটি লবণ এবং ১ কাপ ভিনিগার মিশিয়ে তাতে হাত-পা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ভালোমতো হাত-পা মুছে নিয়ে একটি বাটিতে মুলতানি মাটি, সামান্য লেবুর রস এবং পানি দিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এরপর তা হাতে ও পায়ে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে-মুছে ফেলুন। এরপর ভালো কোনো বডি লোশন লাগিয়ে দিন।