বর্ষায় ত্বকের যত্ন

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৯, ০০:০০

তানিয়া তন্বী
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদের পরে বৃষ্টি অনেক আরামের ও আনন্দের। কিন্তু এই সময়ে অনেক রকম রোগ-ব্যাধিও দেখা যায়। যেমন- এই সময়ে ইমিউনিটি লেভেলটা কমে যায়, ফলে হজমে অসুবিধা দেখা দেয়, ডায়রিয়া, টাইফয়েড। এর ফলাফলটা এসে পড়ে আমাদের ত্বকে। ত্বক শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বকে নানা ধরনের ফুসকুুড়ি, একজিমাও হতে পারে। এই সময়টায় যদি খাবার-দাবারে একটু সচেতন হয়ে চলা যায়, শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভালো রাখা যায়। তাহলে চলুন আজকে বর্ষায় ত্বকের যত্নে কী কী করণীয় জেনে নিই ঝটপট। ১. এ সময় ভারী জামা-কাপড় না পরে হালকা রঙের সুতি পাতলা জামা পরিধান করুন। ঘামে ভিজে গেলে দ্রম্নত পাল্টে নিন। ভেজা কাপড় পরে থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। ২. প্রয়োজনে দিনে দুবার গোসল করুন। জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন। ঘামে বা বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে শুকিয়ে নিন। ৩. এই সময় সারা দিন জুতা-মোজা না পরে বরং হালকা চপ্পল বা খোলা স্যান্ডেল পরা ভালো। তবে খালি পায়ে হাঁটবেন না। রাস্তায় এখন যত্রতত্র নোংরা পানি জমে আছে। পায়ের ত্বককে এই নোংরা পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। কেননা এই পানিতে রয়েছে হাজার রকমের জীবাণু। ৪. বিশেষ করে নারীদের জন্য এ পরামর্শ, ভেজা চুল ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে তবে বাঁধবেন, নইলে মাথার ত্বকে সমস্যা হতে পারে। ৫. বাড়িতে কারও ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকলে শিশুদের তার কাছ থেকে দূরে রাখুন। ৬. এ মৌসুমে বর্ষার ফল খেতে হবে। আম, কাঁঠাল, আনারস, বেল, কলা, পেয়ারা, শসা, গাজর, পাতিলেবু ও জাম্বুরা ত্বকে এনে দেয় প্রাণ। এ ছাড়া খালি পেটে ছোলা ভেজানো বা মুগের ডাল ভেজানো খেলে ত্বক জীবাণু মুক্ত থাকবে। যদিও এগুলো খুব বেশি দামি নয়। এ ছাড়া ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বকে পানির মাত্রা বেশি থাকে। রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।