বর্ষা-দিনের জামা জুতো

সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, গুমোট গরম, অথচ সারা দিন দেখা পাওয়া গেল না বৃষ্টির। হয়তো অফিসের পর বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে যাবেন বলে বাড়ি থেকে সেজেগুজে বেরিয়েছেন। বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছেতাই হলো পোশাক। আবার বৃষ্টি পড়বে ভেবে প্রায় বাতিল দেয়া পোশাক পরে অফিস গিয়েছেন, সেদিনই হঠাৎ অপরিকল্পিত মিটিং। কিছু স্মার্ট ফেব্রিকের কথা মাথায় রাখলেই আর এই সমস্যাগুলো হবে না।

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কাঠফাটা রোদ্দুরের দিন পেরিয়ে যখন বর্ষা এসে শীতল আবেশ দিয়ে যায় প্রকৃতিতে, সেই ভালো লাগাটা আসলেই প্রকাশ করা যায় না। প্রকৃতির নতুন সাজে মনও যেন সাজতে চায়। মন সাজবে তখন, যখন নিজেকে প্রকৃতির মতো পরিপাটি করে সাজাবেন। বর্ষাকালের মুড বোঝা সত্যিই দায়। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, গুমোট গরম, অথচ সারা দিন দেখা পাওয়া গেল না বৃষ্টির। হয়তো অফিসের পর বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে যাবেন বলে বাড়ি থেকে সেজেগুজে বেরিয়েছেন। বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছেতাই হলো পোশাক। আবার বৃষ্টি পড়বে ভেবে প্রায় বাতিল দেয়া পোশাক পরে অফিস গিয়েছেন, সেদিনই হঠাৎ অপরিকল্পিত মিটিং। কিছু স্মার্ট ফেব্রিকের কথা মাথায় রাখলেই আর এই সমস্যাগুলো হবে না। যে পোশাকই পরুন না কেন এই ম্যাটেরিয়ালগুলোই বেছে নিন। তা হলেই আশা করা যায় সমস্যা এড়াতে পারবেন। পোশাকে হালকা সবুজ, সাদা এবং উজ্জ্বল রংগুলোর সংমিশ্রণ রাখা যেতে পারে। আসলে প্রকৃতির এই রূপকেই আমরা পোশাকে ধারণ করে থাকি। এর মধ্যে নীল রং আবার বিশেষভাবে বর্ষার রং হিসেবে পরিচিত। তাই বৃষ্টির দিনের সাজপোশাকে তো আর আমরা নীল রঙকে বাদ দিতে পারি না। তবে লাল, কমলা, হলুদ, বেগুনি রংও রাখা যেতে পারে। তবে কাপড় হিসেবে প্রতিদিনকার চলাফেরার জন্য জর্জেট, সিল্ক, সিনথেটিক কিংবা কটন কাপড়ের জামা তৈরি করা যেতে পারে। সুতি: সবচেয়ে উপযুক্ত ফেব্রিক সুতি। বর্ষাকালে চোখ বুজে সুতির পোশাক পরতে পারেন। মেঘলা আকাশে গুমোট গরমে সুতির পোশাক পরলে যেমন গরম লাগে না, তেমনই ভিজে গেলে তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যায়। হাওয়া চলাচল করার কারণে সুতির পোশাক খুবই আরামদায়ক। সুতির কুর্তা অফিসে পরার জন্য খুবই ভালো। এ ছাড়া কটন স্কার্ট, কটন ম্যাক্সি ড্রেস, কুর্তি, কটন টপ পরতে পারেন। যে কোনো ফর্মাল অনুষ্ঠানে কটন শাড়ি পরে গেলে স্টাইলিশ, কমফোর্টেবল দুটোই বোধ করবেন। ছেলেরাও কটন শার্ট, টি শার্ট কুর্তা পরুন। সিফন : যদি বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ই বৃষ্টি পড়ে বা কাদা ভেজা থাকে রাস্তা তা হলে বাস্তব বুদ্ধি কাজে লাগান। সিফন বা নাইলন এই সব দিনে পরার জন্য সবচেয়ে ভালো। ভিজে গেলে এই সব ফেব্রিক সবচেয়ে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। সিফন টপ, স্কার্ট, শাড়ি সব কিছুই পরতে পারেন তবে লং পোশাক এড়িয়ে চলাই ভালো। বৃষ্টি পড়লে শর্টস বা ক্যাপ্রির সঙ্গে পরে নিতে পারেন সিফন টপ। যে কোনো অনুষ্ঠানে পুরুষরাও আজকাল সিফন শার্ট পরছেন। বর্ষার যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য এই শার্টগুলো খুবই সুবিধাজনক। ডেনিম : অনেকেই মনে করে ডেনিম বর্ষাকালে পরা যায় না। সত্যিই ডেনিম বর্ষাকালে বিশেষ কমফোর্টেবল নয়। তবে কিছু বিষয় মাথায় রেখে ডেনিম পরতে পারেন। একবার ভেবে দেখুন তো কটন ট্রাউজার্স পরে ভেজা রাস্তা পার হওয়ার সময় কী অবস্থা হয়? এই অবস্থায় কিন্তু ডেনিম অনেক বেশি সুবিধাজনক। গুটিয়ে যেমন নেয়া যায়, কাদার দাগও বিশেষ বোঝা যায় না। ডেনিম টাফ মেটেরিয়াল হওয়ার কারণে সহজে নষ্টও হয় না। জুতা : বর্ষাদিনে জুতোর তো বারোটা বাজেই তার সঙ্গে পায়ের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। এই বর্ষায় জুতো টিকতেও চায় না বেশিদিন, তবে আপানার জুতোর কালেকশনে যদি কিছু বর্ষার স্পেশাল জুতোও থাকে তাহলে আপনি বর্ষাকে উপভোগ করতে পারেন অনায়াসে- আসুন জেনে নিই এই বর্ষায় ফ্যাশনেবল জুতোর সন্ধান। রাবার বা পস্নাস্টিকের স্যান্ডেল বর্ষায় বেছে নিতে পারেন নরম রাবার বা পস্নাস্টিকের তৈরি স্যান্ডেল। একটা সময় শুধু দুই ফিতার স্পঞ্জের স্যান্ডেলই পাওয়া যেত। এখন এসব স্যান্ডেলে এসেছে নকশার ভিন্নতা ও রঙের বৈচিত্র্য। বর্ষায় গাঢ় রঙের পোশাক পরা হয় বেশি। তার সঙ্গে মিলিয়ে উজ্জ্বল রঙের স্যান্ডেল পরলে বেশ মানায়। এ ছাড়া আজকাল বর্ষার স্যান্ডেলগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, পরতেও আরাম। আর ফ্যাশনেবল তো আছেই। উইলিউঙ্কিজ রেইনি বুট এই জুতোতে পায়ের অনেকটাই ঢাকা থাকে। বিশেষত বর্ষার এই জুতো পরলে পায়ে কোনো জল লাগে না। শর্ট স্কার্ট বা মিনি ড্রেসের সঙ্গে এই ধরনের জুতো খুব ভালো মানায়। নন লেদার ম্যাটেরিয়ালে তৈরি এই জুতোও ভেজে না বৃষ্টিতে, আর বেশ স্টাইলিস দেখতে। \হ জুজু মিনি ওয়েজ জেলি শু প্রতিদিন যাদের বাইরে বের হতে হয়, সে মেয়েদের জন্য বর্ষার এই জুতো বেশ টেকসই এবং ট্রেন্ডি মূলত পস্নাস্টিক ধরনের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয় এই জুতোগুলো- ফলে এতে বর্ষার জল লেগে থাকে না। জুতোতে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকে যেখান থেকে জল বেরিয়ে যায়।?বর্ষার উপযুক্ত গোলাপি, হলুদ, সাদা, কালো প্রভৃতি রঙের মধ্যে এই জুতো পাওয়া যায়।? \হ সিয়েরা স্টেলা সিলভার উয়োম্যান শু বর্ষায় এই জুতোও বেশ উপযোগী। এই ধরনের জুতোতে পা পুরোটাই ঢাকা থাকে। এই জুতোর বিশেষত্ব এর হালকা ওজন। পা ঢাকা এই জুতো পরে বর্ষার রাস্তায় বেরোলে জল লাগে না পায়ে। আবার জুতোটির ওপরের অংশ পস্নাস্টিকের হয় তাই ভিজবে না জুতোটিও। ক্যাজুয়াল ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে বেশ মানায় এই জুতো।? \হ গস্ন্যামারাস লেডিজ ফ্যান্সি রেন স্স্নিপ অনস এ ধরনের বর্ষার জুতো বেশ স্টাইলিস ও ক্যাজুয়াল। পায়ের পিছন দিক খোলা ও সামনের দিকের পায়ের পাতা ঢাকা থাকে এই জুতোয়। এই জুতোর সব থেকে বেশি চাহিদা বাদামি রঙের। অ্যাথনিক ওয়্যারের সঙ্গে মানানসই এই জুতো। সিনথেটিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হয় এই জুতোগুলো। বর্ষায় এই জুতো বেশ আরামদায়ক, এ ছাড়া ফ্যাশনেবল তো রয়েছেই। নন্দিনী ডেস্ক