গড়ন বুঝে পালাজ্জো

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

রঙ বেরঙ ডেস্ক
ফ্যাশনে কয়েক বছর ধরেই পালাজ্জো চলছে। তবে কয়েক দফায় কাটছাঁট, রং নকশায় পরিবর্তন হয়ে পালাজ্জো ফ্যাশনে এখনো জনপ্রিয় হয়ে আছে। দুই-তিন ধরনের কাট অনুসরণ করে পালাজ্জো বানানো হয়। একটিতে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সমানভাবে ঢোলা কাটে বানানো হয়। অন্যটিতে ওপরের দিক থেকে নিচের দিকটায় বেশি প্রশস্ত থাকে। বেলবটম কাট এবং লেয়ারিং পালাজ্জোই এখন ট্রেন্ডি। গত বছর প্রিন্টের পালাজ্জোর কদর থাকলেও এখন একরঙা পালাজ্জোই সবাই পছন্দ করছেন। সুতি, সিল্ক, লিলেন, নিট কটন আর কটনের কাপড় দিয়ে পালাজ্জো বানালে কাটটা খুব ভালো হয়। অঞ্জনসের স্বত্বাধিকার ও ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন আহম্মেদ বলেন, 'যাদের স্বাস্থ্য ভালো, তাদের পালাজ্জোর সঙ্গে একটু ঢিলেঢালা টপস পরলে মানাবে। একটু শুকনা আর লম্বা গড়নের যারা তাদের ওপরে চাপা হয়ে নিচের দিকে ঢোলা পালাজ্জো ভালো লাগবে। একটু খাটো যারা তারা চাপা কাটিংয়ের পালাজ্জো পরতে পারেন। চুড়িদার ফ্যাশনে বেশ পুরনোই। তবে নতুন করে এতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আর তাতেই ফ্যাশনে এখন চুড়িদার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কটন আর সেমি সিনথেটিক কাপড়ে চুড়িদারই বেশি দেখা যাচ্ছে এখন। নিয়ন আর শকিং কালার যেমন গাড় নীল, লাল, ম্যাজেন্টা, পার্পল, কমলার মতো উজ্জ্বল রঙে এসেছে নতুন চুড়িদারে। লং প্যাটার্নের কামিজের সঙ্গেই বেশি জুতসই হবে এই সালোয়ার। রং মিলিয়ে পায়ে দিতে পারেন চটি স্যান্ডেল। দেহের সঙ্গে সালোয়ারটি মানানসই কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি লম্বা ও মোটা গড়নের অধিকারী হন তবে চাপা, পাকিস্তানি রাউন্ড শেপ সালোয়ার, চুড়িদার ভালো মানাবে। আর যদি শুকনা গড়নের আর উচ্চতা মিডিয়াম হয় তবে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন পাটিয়া, ডিভাইডার ধরনের সালোয়ারগুলো। সালোয়ারের ফেব্রিকের ক্ষেত্রে সুতি, খাদি, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, লিলেন বেশি ব্যবহার হচ্ছে। আর রঙের ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে উজ্জ্বল রং। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে ব্র্যান্ডের পালাজ্জো পাওয়া যাবে ৩০০-১২০০ টাকায়, ডিভাইডার ২০০-৪০০, প্যান্ট কাট সালোয়ার ৪০০-২০০০, ট্রাউজার সালোয়ার ৪০০-১৮০০ টাকা। নন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের সালোয়ার পাওয়া যাবে ২০০-৮০০ টাকায়। রং বাংলাদেশ, কে ক্র্যাফট, বিবিয়ানা, আড়ংসহ বিভিন্ন দেশীয় ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রকম সালোয়ার। নন ব্র্যান্ডের সালোয়ার কিনতে যেতে পারেন ধানমন্ডি হকার্স, নিউ মার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, গাউসিয়া, মৌচাক মার্কেট, ফরচুন মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে।