আরামদায়ক পোশাক

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সারাদিনের জন্য বাইরে বের হলেনÑ দেখা গেল দুপুরে কোনো অনুষ্ঠান, আবার সন্ধ্যায় দাওয়াত। এসব ক্ষেত্রে কোন ধরনের পোশাক বেছে নেবেন, তা নিয়ে শুরু হয় দ্বিধাদ্ব›দ্ব। কেননা একই পোশাক পরে দাওয়াতে যাবেন, নাকি বাড়িতে গিয়ে পোশাক পাল্টে নেবেন। যানজটের শহরে অনেক সময় সেই সুযোগ ও সময় কোনোটাই থাকে না। আবার আবহাওয়ার এই গরম, এই বৃষ্টির কথাও মনে রাখতে হবে। সব মিলিয়ে পোশাক হিসেবে বেছে নিতে পারেন সুতির স্ক্রিন প্রিন্টের সালোয়ার-কামিজ। এতে নানা ধরনের লেইস ফিতা যোগ করে আনতে পারেন ভিন্নমাত্রা। সুতির পোশাক সবসময়ই আরামদায়ক। তাই সুতি কাপড়ে নিজের পছন্দমতো স্ক্রিন প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারেন। জমকালো ভাবও ফুটে উঠবে, আরামও পাবেন। অনলাইন বুটিক হাউস ‘আনস্টিচড’-এর ডিজাইনার মণিদীপা দাশগুপ্তা বলেন, ‘গরমে যে কোনো অনুষ্ঠানে বা বাইরে বের হওয়ার জন্য সুতি কাপড়ের স্ক্রিন প্রিন্ট ভালো দেখাবে। এ সময় হালকা রঙের নীলের হালকা শেড, আকাশি, হালকা হলুদের মতো রং বেছে নিতে পারেন। স্ক্রিন প্রিন্টের পোশাকে বৈচিত্র্য আনতে কাটিংয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’ গরমে হাতাকাটা, খাটো হাতা কিংবা থ্রি-কোয়াটার্র হাতা মানানসই। যারা হাতাকাটা বা খাটো হাতা পরতে চান না, তারা থ্রি-কোয়াটার্র হাতা পরতে পারেন। সাধারণ পোশাকে ভিন্নতা আনতে চাইলে এ-লাইন কাট ছাড়াও আনারকলি কাটে তৈরি করতে পারেন কামিজ। সঙ্গে পরুন চুড়িদার। এ পোশাক পরেই সারাদিন যেমন বাইরে কাটিয়ে দিতে পারবেন আবার কোনো দাওয়াতেও চলে যেতে পারবেন। বাজারে নানা ধরনের ক্রুশের লেইস, পাড় পুঁতি পাওয়া যায়। এসব কিনে নিজেই হয়ে উঠতে পারেন নিজের ডিজাইনার। স্ক্রিন প্রিন্ট যদি হাতে-গলার কাছে থাকে তাহলে নিচে চিকন করে স্ক্রিন প্রিন্ট করাতে পারেন। শুধু হাতায় থাকলে কামিজের হেমে চওড়া করে প্রিন্ট করলে ভালো দেখাবে।