গাউনে ভিন্ন ধারা

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রঙ বেরঙ ডেস্ক
কয়েক বছর ধরেই চলছিল খাটো আর ফিটেড পোশাকের ধারা। গত বছর একটু লম্বা আর ঢোলা পোশাকের চল দেখা গেলেও এ বছর ঢিলেঢালা পোশাকের স্টাইল চলছে পুরোদমেই। জাম্পসু্যট, ম্যাক্সি ড্রেস, গাউন এ ধরনের পোশাকগুলো পশ্চিমা ফ্যাশনে অনেক আগে থেকে প্রচলিত থাকলেও এখন আমাদের দেশের ডিজাইনাররাও এ দেশের মানুষের পরার উপযোগী করে বানাচ্ছেন এ ধরনের পোশাক। আর এ ক্ষেত্রে চলিস্নশের দশকের ফ্যাশনটাকে এবার অনুসরণ করা হচ্ছে। ঢিলেঢালা পোশাক বলতে সেই সময় জাম্পসু্যট, ম্যাক্সি ড্রেস আর গাউন জনপ্রিয় ছিল। কারণ, ঢোলা হওয়ার পরেও এ ধরনের পোশাকে ফুটে উঠত স্টাইলিশ লুক। তবে পোশাকটা যেমনই হোক না কেন, তাতে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে ফুলেল মোটিফ, বেবি কলার, বেলুন হাতার নকশাই এই বছর বেশি চলছে।- পাশ্চাত্য ঘরানার এসব পোশাকে এখন প্রাচ্যের সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির মিশেলে আনা হচ্ছে ফিউশন। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বলরুম বা ইভনিং গাউনগুলোয় সাধারণত কোমর পর্যন্ত ফিটিং রেখে তার নিচ থেকে নামিয়ে দেয়া হয় ঘের। এদিকে আমাদের দেশে মেয়েদের গড়ন একটু ভারী হওয়ায় কাটিংয়ে পরিবর্তন আনছেন ডিজাইনাররা। যেমন- গাউনে ঘেরটা এখন শুরু হচ্ছে বুকের নিচ থেকে। একটু মোটা বলে যারা এতদিন এধরনের পোশাক এড়িয়ে চলতেন, তাদের জন্যও গাউনে থাকছে বিশেষ নকশা। যেমন- লং গাউনের মাঝখানে আলাদা কাপড় জোড়া দিয়ে তাতে দেয়া হচ্ছে শরীরের সঙ্গে মানানসই আকার। এ ধরনের গাউনের দুই দিকটা একটু ফিটেড দেখানোর জন্য করা হচ্ছে গাঢ় রঙের কাপড়ের ব্যবহার। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের গড়নেই মানিয়ে যাওয়ার জন্য থাকছে মারমেইড বা ফিশ শেপের গাউন। এ ধরনের নকশায় হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত থাকছে নেটের ঝুল। গতানুগতিক নকশার বাইরে গাউনে নতুনত্ব আনতে সামনের দিকে ওড়নার স্টাইলে কুচি দিয়ে জুড়ে দেয়া হচ্ছে কাপড়। কোনো কোনো গাউনে আবার শাড়ির আঁচল স্টাইলে এক পাশেও থাকছে বাড়তি কাপড়। বৈচিত্র্যময় নকশার গাউনগুলো দামটা শুরু ৩৫০০ টাকা থেকে। ককটেল ড্রেসের দাম পড়বে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা। জ্যাকেটসহ জাম্পসু্যটের দাম ২৫০০ টাকা। এদিকে একস্ট্যাসি, ওটু, ইনফিনিটিতে ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যেই মিলবে পার্টি ড্রেসগুলো। আর ফেসবুকে পোশাক কেনাবেচার পেজগুলোতে নজর রাখলেও পেয়ে যাবেন নানা নকশার পোশাক। \হ