ঘুরে আসি ধারেকাছে

শহুরে যান্ত্রিক মানুষ ইদানীং নানান ব্যস্ততার অজুহাতে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন না। কিন্তু মন পড়ে থাকে ঠিকই নিবিড় প্রকৃতির সান্নিধ্যে। তাদের জন্যই থাকছে ঢাকার কাছে আশুলিয়াতেই নজরকাড়া এক প্রকৃতির খোঁজ-খবর

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শহুরে যান্ত্রিক মানুষ ইদানীং নানান ব্যস্ততার অজুহাতে দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন না। কিন্তু মন পড়ে থাকে ঠিকই নিবিড় প্রকৃতির সান্নিধ্যে। তাদের জন্যই ঢাকার কাছে নজরকাড়া এক প্রকৃতির খোঁজখবর দিচ্ছেন- মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম কংক্রিটের আবর্জনায় ঢাকার আশপাশে, যে কটা জায়গায় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখনো টিকে রয়েছে, তার মধ্যে আশুলিয়া অন্যতম। সুযোগ পেলেই মোটরবাইকে ঢুঁ মেরে আসি। গত কিছুদিন আগে ফেসবুক ফ্রেন্ড মাসুম পারভেজ থেকে খোঁজ পেলাম তালতলার। খবর পেতে দেরি যেতে দেরি নেই। আমি আর জসিম ছুটলাম। সাভার পেরুতে পারলে, বাইক চালাতে আর তেমন বিরক্ত লাগে না। আরিচা মহাসড়ক ছেড়ে এবার বিশ মাইল সড়কে। চলছে বাইক পঙ্খিরাজের গতিতে। বিশ মাইল পথের শেষে আশুলিয়া সড়কের অন্য পাশেই বাইক ঢুকিয়ে দিই ইয়ারপুর ইউনিয়নে। অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাই তৈয়বপুর গ্রামে। প্রথমেই সবুজ শ্যামল গ্রামের পরিবেশ দৃষ্টি কেড়ে নেয়। স্থানীয়দের দেখানো মতে, এগিয়ে যাই বেড়িবাঁধের দিকে। পুরো গ্রামজুড়েই প্রাচীন তালগাছের ছড়াছড়ি। বাইক এবার বেড়িবাঁধ। এবড়োখেবড়ো সরু পথ। বাঁধের দুপাশেই সারিসারি তালগাছ। ছলাৎ ছলাৎ পানির আওয়াজ। কিছু কিছু তালগাছ এমনভাবে জন্মলগ্ন থেকেই বাঁকা হয়ে বড় হয়েছে, যেন দূর থেকে দেখে মনে হয়, জীবন্ত তালগাছগুলো পানিতে ভাসে। এক কথায় চমৎকার। বাইক রেখে আমরা এবার হেঁটে বেড়াই। গাছ থেকে নামিয়ে আনা গাছিদের থেকে কিনে তালের আঁটি খাই। সে এক অপার্থিব সুখ। বাঁধের শেষ প্রান্তে খেয়া পার হলেই রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরা। সূর্যাস্তের নজরকাড়া দৃশ্য। চাইলে ট্রলার দিয়ে স্বচ্ছ টলটলে পানিতে ভেসে বেড়ানোও যাবে। ঢাকার পাশেই এরকম টিকে থাক প্রাকৃতিক প্রাচুর্যের ভিড়ে, আপনিও একটা বিকাল কাটিয়ে আসতে পারেন স্বাচ্ছন্দে। যাবেন কীভাবে : ঢাকার গুলিস্তান, গাবতলী, সায়েদাবাদসহ আরও অনেক বাসস্ট্যান্ড থেকেই আশুলিয়ার জিরাব বাস স্টপিজে যাওয়া যাবে। তবে মজাপাবেন মোটরবাইকে গেলে।