কুষ্টিয়ার 'টেগর লজ'

কুষ্টিয়ার টেগর লজের একেবারেই কাছে ছেউড়িয়া। লালনের আখড়া আছে এখানে। আছে লালন একাডেমি। লালনের জন্ম ও মৃতু্যদিবসে এখানে নানারকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আবু আফজাল সালেহ
কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, নওগাঁর পতিসর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অনেক স্মৃতি আছে। এটা বেশির ভাগই জানেন। রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কম আলোচনায় বা কম পরিচিত কয়েকটি স্থান হচ্ছে খুলনার ফুলতলার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগ। কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ছাড়াও আর একটি স্মৃতিস্মারক রয়েছে কুষ্টিয়া বড়বাজার রেলস্টেশন সংলগ্ন কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ি। যা পরে রবিঠাকুরের নামের ইংরেজি নামের উচ্চারণনুসারে 'টেগর লজ' করা হয়েছে। টেগর লজ ১৮৯৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেকে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন। তিনি ও তার দুই ভাগ্নে সুরেন্দ্রনাথ ও বলেন্দ্রনাথের সহায়তায় শিলাইদহে টেগোর অ্যান্ড কোম্পানি গড়ে তোলেন যৌথ মুলধনী ব্যবসা। সে বছরই ব্যবসায়িক সুবিধার্থে টেগোর অ্যান্ড কোম্পানি শিলাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তরিত করেন। কোম্পানি দেখাশোনার জন্য কবি শহরের মিলপাড়ায় একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেন। এখানে বসে কবি অসংখ্য কবিতা লেখেন যা পরবর্তীকালে কথা ও কাহিনীতে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে এ ভবনটিও একটি দর্শনীয় স্থান। পার্শ্ববর্তী স্পট: কুষ্টিয়া শহর/টেগর লজের একেবারেই কাছে ছেউড়িয়া। লালনের আখড়া আছে এখানে। লালন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে এখানে। লালনের জন্ম ও মৃতু্যদিবসে এখানে নানারকমের অনুষ্ঠান করা হয়। রঙ্গল আর নানান ফুলে মুগ্ধ করবে এ ক্যাম্পাসটি। একটু দূরে কুমারখালিতে কাঙাল হরিনাথের বসতবাড়ি ও জাদুঘর। আর শহর থেকে ১২-১৩ কিলোমিটার দূরেই ঐতিহাসিক শিলাইদহ। রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত দেশের বড় স্পট লালনের আখড়া-লালন একাডেমি। দর্শনীয়/ বিখ্যাত জিনিস/খাবার: কুষ্টিয়ার 'কুলপি' মালাই দেশ বিখ্যাত। খেতে পারেন। কুষ্টিয়ার 'তিলের খাজা'ও বিখ্যাত। খেতে পারেন, বাসায় নিয়ে যেতে পারেন।